হাজার হাজার মজুদ থাকলেও যশোরের সব চিকিৎসক সেবিকা পিপিই পাচ্ছেন না

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে হাজার হাজার পিপিই (পার্সোনাল প্রটেকশন ইকুইভমেন্ট) থাকা সত্ত্বেও সকলে তা পায়নি। এতে চিকিৎসক-কর্মচারীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে অসন্তোষ। তবে কর্তৃপক্ষ বলছেন, সবাই পিপিই পেয়েছেন। গতকাল (১৯ এপ্রিল) হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, অনেক চিকিৎসক-কর্মচারীর পরনে কোন পিপিই নেই। সাধারণের মত, তারা পিপিই ছাড়াই চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত। তারা জানান, হাসপাতালের সব জায়গায় তাদের ঘুরতে হয়। অথচ, করোনা পরিস্থিতির এই বিশেষ দুর্যোগ মুহূর্তে তারা পিপিই পাননি। আবার কেউ কেউ পিপিই পেলেও ব্যবহার করছেন না।
জানা গেছে, গত ১৩ এপ্রিল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দু’জন চিকিৎসক ও কর্মচারী সহকারী পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়কের কাছে পিপিই ও অন্য প্রটেকশন সামগ্রী দেয়ার অনুরোধ জানান। হাসপাতালের জরুরি বিভাগ হচ্ছে করোনা আক্রান্ত কিংবা করোনা সন্দেহে রোগী ভর্তির প্রথম স্থান। সেখান থেকে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। অনেক সময় এ বিভাগে পিপিই ছাড়া সংশ্লিষ্টরা কাজ করছেন। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জরুরি বিভাগের চিকিৎসক-কর্মচারীদের নিরাপত্তার ব্যাপারে যে পদক্ষেপ নিয়েছেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মেডিসিন কিংবা অর্থো সার্জারি ওয়ার্ড হতে ইতিমধ্যে করোনা সন্দেহে রোগী হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়েছে। সুতরাং কোথাও করোনা ভাইরাস বহনকারী রোগী নেই। তা কেউই জানতে পারছে না। তাই, কর্মরত চিকিৎসক কর্মকর্তা, সেবিকা ও কর্মচারীরা দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ঝুঁকির মধ্যে পড়ছেন। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গেছে যে, রোগী দেখলেই চিকিৎসক-কর্মচারীরা ভয় পাচ্ছেন। করোনা যেন ধাওয়া করে ফিরছে তাদের। এদিকে, করোনার ছোবল থেকে রক্ষা পেতে সরকারি ও বেসরকারিভাবে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পিপিইসহ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা সামগ্রী এসেছে। শুধু পিপিই এসেছে ৯ হাজার। গত ১২ এপ্রিল সরকারিভাবে দেয়া হয়েছে ৬ হাজার পিপিই। এর আগে দেয়া হয়েছে ৩ হাজার পিপিই। বেসরকারিভাবে দেয়া হয়েছে। সব মিলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা সামগ্রী পেয়েছেন তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপ কুমার রায়। অথচ তা পাচ্ছেন না চিকিৎসক, সেবিকা ও কর্মচারীরা। যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপ কুমার রায়ের সাথে পিপিই বিতরণ নিয়ে আলাপকালে তিনি বলেন, যেখানে পিপিই পাওয়ার দরকার সেখানে পিপিই পাচ্ছে। সবাইকে দেয়া হচ্ছে। অনেকে পিপিই পেয়েও ব্যবহার করছেন না। সেগুলোর খোঁজ নেয়া হচ্ছে। এখনো হাসপাতালে যথেষ্ট পিপিই মজুদ রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সবাইকে দেয়া হবে।