করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৫

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা ৭৫ জন। একদিনে নতুন করে আরও করোনা শনাক্ত হয়েছেন ২৬৬ জন এবং করোনায় মোট শনাক্ত হলেন এক হাজার ৮৩৮ জন। গত দিনের থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে মৃতের সংখ্যা এবং কমেছে শনাক্ত। শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে দেশের কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিন অনলাইনে প্রচারিত হয়। সেখানে ভিডিও কনফারেন্সে এই তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বুলেটিনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে দুই হাজার ১৯০টি। গত একদিনে সুস্থ হয়েছেন ৯ জন, এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৫৮ জন। শনাক্তদের বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত ১ হাজার ৮৩৮ জনের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি আছেন প্রায় ৫০০ জন। অর্থাৎ, হাসপাতালে সেবা নিয়েছেন শতকরা ৩৩ ভাগ রোগী, বাকিরা হোম বা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারিন্টেনে আছেন। সারাদেশে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) সাপোর্ট নিয়েছেন ২৭ জন। অর্থাৎ প্রায় এক দশমিক ৮ শতাংশ রোগী আইসিইউ সাপোর্ট নিয়েছেন। এই হারে ১০ হাজার রোগী যদি আইসিইউ সার্পোট নেয় তাহলে ১৮০টি ভেন্টিলেটর সার্পোট লাগবে। এই সার্পোট একবারে লাগে না, এরপরও যদি দরকার হয় তাহলে এই সময়ের মধ্যে দেশের প্রতিটি হাসপাতালে অক্সিজেনের ব্যবস্থা রয়েছে যা করোনাভাইরাসের রোগীর জন্য বেশি প্রয়োজন।’
বুলেটিনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি মানুষের কোনও চিকিৎসা প্রয়োজন হয় না। অন্যদের অক্সিজেনসহ কিছু ওষুধ লাগতে পারে। আইসিইউ, ভেন্টিলেটর এবং প্রস্তুতি নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে। এই ব্যবস্থার উন্নয়নে প্রতিনিয়ত কাজ চলছে।’ বর্তমানে সব হাসপাতালে ট্রিটমেন্ট গাইড লাইন দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে পার্সোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই) এর কোনও সংকট নেই। ২০টি ল্যাব স্থাপতি করা হয়েছে, এগুলো সহজে স্থাপতি হয়নি। আমাদের জানা ছিল না কতগুলো ল্যাব লাগতে পারে, এগুলো অন্য দেশ থেকে আমদানি করে আনতে হয়। যেখানে আমদানি বন্ধ ছিল, বিভিন্ন উপায়ে, বিভিন্নভাবে এগুলো স্থাপন করা হয়েছে।’ নমুনা পরীক্ষা কার্যক্রম আরও বাড়ানো প্রয়োজন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সমস্যা হচ্ছে রোগীরা টেস্ট করে না, গোপন করে যায়। ফলে চিকিৎসক আক্রান্ত হচ্ছে, এই আচরণ আশঙ্কাজনক।তাই বেশি করে টেস্ট করতে হবে।’ এই সময় বুলেটিনে যুক্ত হয়ে কথা বলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা এবং জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।