মনিরামপুরে বেতন তুলতে শিক্ষকদের ভিড় ব্যাংকে

0

স্টাফ রিপোর্টার,মনিরামপুর (যশোর) ॥ মনিরামপুরে রূপালী ব্যাংকে বেতন উত্তোলনের অপেক্ষায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের উপচেপড়া ভিড় লেগেই চলেছে। ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে। সোমবার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকার জানান, মনিরামপুরে বেসরকারি স্কুল(মাধ্যমিক), কলেজ মাদ্রাসাসহ মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ২০৪ টি। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারী বেতনভাতা উত্তোলন করেন পৌর শহরের রূপালী ব্যাংক এবং রাজগঞ্জ বাজারে সোনালী ব্যাংকের স্ব স্ব হিসাব থেকে। মার্চ মাসের বেতন পরিশোধ শুরু হয় ১২ এপ্রিল থেকে। এরমধ্যে উপজেলার ১৭৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত প্রায় সাড়ে তিন হাজর শিক্ষক কর্মচারীর বেতনভাতা প্রদান করা হয় পৌর শহরের রূপালী ব্যাংক শাখা থেকে। বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কারণে সরকার ব্যাংকের লেনদেনের সময়সূচি করেছে সীমিত সকাল ১০ টা থেকে দুপুে ১ টা পর্যন্ত। তার ওপর সরকারি বিধি অনুযায়ী স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সামাজিক দূরুত্ব বজায় রেখে লেনদেন করতে হবে। কিন্তু ১২ এপ্রিল রূপালী ব্যাংকের সামনে ভিন্ন চিত্র চোখে পড়ে। ঘড়ির কাঁটায় সকাল ৯টা ৫০ মিনিট। দেখা যায় ব্যাংকের সিড়ি থেকে শুরু করে সামনের মার্কেটসহ আশপাশে হাজারো শিক্ষকদের উপচেপড়া ভিড়। এ সময় সামাজিক দূরুত্ব বজায় না রাখা নিয়ে কথা হয় সাইদ হোসেন নামে এক শিক্ষকের সাথে। তিনি জানান, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আগেভাগেই জানিয়েছিল প্রতি প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষক কর্মচারীর চেক নিয়ে একজনকে আসতে। কিন্তু সে নির্দেশানা না মেনে সব শিক্ষকরাই চলে এসেছেন বেতন উত্তোলন করতে। যেকারণে জায়গার অভাবে গাদাগাদি করে দাঁড়াতে হচ্ছে। আর শিক্ষকদের ভিড় সামলাতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে। রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক (এসপিও) রবীন্দ্র নাথ মন্ডল জানান, তিনিসহ ব্যাংকে রয়েছে মাত্র ছয়জন কর্মকর্তা। দুটি কাউন্টার থেকে পেমেন্ট করা হচ্ছে। তার ওপর সামাজিক নিরপত্তা বিধান করে একদিনেই শিক্ষকদের উপচেপড়া ভিড় সামলাতে তাদের খুব হিমশিম খেতে হয়। তিনি জানান ইতোমধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ শিক্ষকদের বেতনভাতা প্রদান করা হয়েছে। ১৫ এপ্রিলের মধ্যে বাকিদের বেতন দেওয়া সম্ভব হবে। এ দিকে শিক্ষকদের উপচেপড়া ভিড়ের খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহসান উল্লাহ শরিফীর নেতৃত্বে সেনাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এসে সকলকে সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখতে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। তবে রবিবারের তুলনায় সোমবার ভিড় ছিল একটু কম।