রিফাত রহমান, চুয়াডাঙ্গা॥ করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে সরকার মানবিক কারনে কয়েক হাজার কয়েদীকে সাময়িকভাবে ছেড়ে দেয়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে ৬০জন কয়েদীর নামের তালিকা তৈরী করে ঢাকা কারা অধিদপ্তরে প্রস্তাবও পাঠিয়েছে।
দেশের অন্য কারাগারের মত চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগার থেকে মুক্তি দেয়ার জন্য বিভিন্ন মেয়াদে সাজা পাওয়া ৬০ জন কয়েদীর নাম ঢাকা কারা অধিদপ্তরে পাঠিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। গত ৪ এপ্রিল পাঠানো এ তালিকার ৬০ জনের মধ্যে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত (যারা ইতোমধ্যে ২০ বছর সাজা ভোগ করেছে) ৮ জন এবং লঘু অপরাধে সর্বোচ্চ ১ বছর পর্যন্ত সাজাপ্রাপ্ত ৫২ জন কয়েদীর নাম রয়েছে।  চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারের জেলার শওকত হোসেন মিয়া বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে ২০টি পুরুষ ও ৪টি মহিলা ওয়ার্ড, ২০টি পুরুষ ও ১২টি মহিলা সেল এবং দোতলা হাসপাতালের ৫টি ওয়ার্ডে ২০টি বিছানা আছে। এর ধারন ক্ষমতা ৩০০ জন। শুক্রবার (১০ এপ্রিল) বন্দি ছিলো ৫২৯ জন। এর মধ্যে হাজতী পুরুষ ৩৫৫ জন ও মহিলা ১৬ জন এবং কয়েদী পুরুষ ১৪৯ জন ও মহিলা ৯ জন। করোনাভাইরাস সংক্রামণ ঠেকাতে কারাগারে নতুন কোন কেউ আসলে তাকে আলাদা ভাবে রাখা হচ্ছে। গত ২৫ মার্চ থেকে দর্শনার্থীদের দর্শন বন্ধ রাখা হয়েছে। কারাগার থেকে একটি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে লাউড স্পিকার চালু করে, একজন কারারক্ষীর উপস্থিতিতে আসামীদের সঙ্গে তাদের পরিবারের সদস্যদের ৫ মিনিট করে কথা বলার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া কারাগারের হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় একটি আইসোলেশন ঘর প্রস্তুত রয়েছে। তাছাড়া কারারক্ষী ও কারাগারে কর্মরতদের কারাগারের বাইরে যেতে দেয়া হচ্ছে না। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, আইনগত প্রক্রিয়া প্রস্তুত করে আমরা আসামীদের জামিনের ব্যবস্থাটি গ্রহন করেছি। এতে কিছু আসামী এ প্রক্রিয়া শেষ করে জামিনে মুক্ত হতে পারবে।