করোনা উপসর্গ নিয়ে ১৩ জনের মৃত্যু

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ দেশের ১১ জেলায় একদিনে করোনা উপসর্গে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে দুই শিশু, ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য ও হরিণাকুণ্ডুতে প্রবাসী নারী, নাটোরে এক ব্যক্তি, বগুড়ায় বৃদ্ধ, ঠাকুরগাঁওয়ে মুক্তিযোদ্ধা, নীলফামারীর সৈয়দপুরে এক ব্যক্তি, নেত্রকোনার খালিয়াজুরীতে এক ব্যক্তি, মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় এক ব্যক্তি ও শ্রীমঙ্গলে এক নারী এবং চাঁদপুরের মতলবে এক নারী মারা যান। শরীয়তপুরে এক নারীর লাশ হাসপাতাল থেকে নিয়ে পালিয়েছেন স্বজনরা। এসব ব্যক্তির বাড়ি লকডাউন করে পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় মারা যাওয়া শিক্ষার্থী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিল না। ফলে ওই পরিবারের লকডাউন তুলে দিতে প্রশাসনকে অনুরোধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ২৫৩ পরিবারের হোম কোয়ারেন্টিন শিথিল করা হয়েছে। এবিষয়ে বিস্তারিত খবর-
ঝিনাইদহ : কোটচাঁদপুরে অবসরপ্রাপ্ত এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় কোটচাঁদপুর উপজেলা শহরের হাইস্কুলের সামনের এলাকার চারটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুর রশিদ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজনীন সুলতানা এ খবর নিশ্চিত করেছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মৃত ব্যক্তির শরীরে করোনা উপসর্গ ছিল। শনিবার সকালে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করার কথা ছিল। ভোর ৫টার দিকে মৃত্যু হয় তার। মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ঘটনার পর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এলাকার চারটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
এছাড়া হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ষড়বাড়িয়া গ্রামের দুবাই প্রবাসী এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি ৩ মার্চ দেশে ফিরে আসেন। দেশে ফিরে শ্বাস-কষ্টসহ বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। কুষ্টিয়া জেলা শহরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয় তাকে। বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় চারটি বাড়ি লকডাউন করে দেয়া হয়। শনিবার এ খবর নিশ্চিত করেছেন ফলসি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান। হরিণাকুণ্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জামিনুর রশিদ বলেন, ওই নারীর নখে ক্ষত ছিল এবং হার্টের সমস্যাও ছিল। তার শরীরে করোনার কোনো লক্ষণ ছিল না বলে দাবি করেন তিনি।
রামগতি (লক্ষ্মীপুর) : কমলনগরে তোরাবগঞ্জ ও চর মার্টিনে দুই শিশু মৃত্যুর পর ৯ পরিবারকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। মারা যাওয়া শিশুদের মধ্যে একজন গত এক বছর ধরে খিঁচুনি রোগে ভুগছিল, অপরজন চার দিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত ছিল। তাদের নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। শনিবার সকালে উপজেলার চর মার্টিনের পাঁচ বছর বয়সী শিশুটিকে নোয়াখালী নেয়ার পথে মারা যায়। এর আগে শুক্রবার দুপুরে তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের নিজ বাড়িতে ২ বছর ৬ মাস বয়সী অপর শিশুর মৃত্যু হয়। তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নে মৃত্যু হওয়া শিশুটির বিষয়ে কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আমিনুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, শিশুটি গত এক বছর ধরে ইপিলেপ্সির (খিঁচুনি) রোগী ছিল। শুক্রবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়। তারপরও আমরা স্যাম্পল কালেকশন করে ঢাকায় পাঠিয়েছি। ওই বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। চর মার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান ইউছুফ আলী মিয়া জানান, চর মার্টিন ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ৫ বছর বয়সী একটি শিশু ৩-৪ দিন ধরে জ্বরে ভুগছিল। অবস্থার অবনতি হলে নোয়াখালী হাসপাতালে নেয়ার পথে শনিবার সকালে তার মৃত্যু হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিম শিশুটির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে। এ সময় কমলনগর উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বাপ্পি মেডিকেল টিমের সঙ্গে ওই শিশুর বাড়ি গিয়ে খোঁজখবর নেন এবং আশপাশের লোকজনকে সতর্ক থাকতে ও সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ করেন। কমলনগর থানার ওসি মোহাম্মদ নুরুল আবছার বলেন, তোরাবগঞ্জ ও চর মার্টিনে দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় ওই দুই বাড়ি লকডাউন করে ৯ পরিবারকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
শরীয়তপুর : শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে জ্বর ও মাথা ব্যথা নিয়ে আসার পর এক নারী মারা গেলে লাশ নিয়ে পালিয়ে গেছেন স্বজনরা। ওই নারীর বাড়ি শরীয়তপুর সদর উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নে। শনিবার সকাল ১০টার দিকে মারা যান তিনি। মৃত্যুর পর নমুনা সংগ্রহের প্রস্তুতিকালে স্বজনরা লাশ নিয়ে পালিয়েছেন বলে এ খবর নিশ্চিত করেছেন শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মুনির আহম্মেদ খান। এ ব্যাপারে জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক রণেশ বোসের কাছে রোগীর নমুনা সংগ্রহের আগে কীভাবে ছাড়পত্র পেল এবং পালিয়ে গেল- জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুমন কুমার পোদ্দার বলেন, জ্বর ও মাথা ব্যথা নিয়ে সকাল ৯টায় ওই রোগী আসেন। এ সময় রোগী অজ্ঞান ছিলেন। তারপর তাকে চিকিৎসা দিয়ে ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। সেখানে নেয়ার আগেই তিনি মারা যান। আমরা নমুনা সংগ্রহের জন্য কাজে ব্যস্ত থাকার ফাঁকে স্বজনরা লাশ নিয়ে পালিয়ে যান। পালং থানার ওসি আসলাম উদ্দিন বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ডা. সোবাহানসহ এলাকায় গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করি। পরিবারের সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এছাড়া নড়িয়া উপজেলার থিরোপাড়ায় এক ব্যক্তি জ্বর ও মাথা ব্যথা নিয়ে ১ এপ্রিল প্রথমে নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার উত্তরায় কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে শনিবার সকালে তিনি মারা যান। ওই ব্যক্তির বাড়ির আশপাশের ৩৩টি পরিবারের মধ্যে ১৮০ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নড়িয়া থানার ওসি হাফিজুর রহমান।
বগুড়া : বগুড়া শহরের পুরান বগুড়া দক্ষিণপাড়ায় শ্বাসকষ্ট ও গলা ব্যথা নিয়ে শনিবার দুপুরে এক বৃদ্ধ মারা গেছেন। তিনি করোনাভাইরাসে মারা গেছেন- এমন সন্দেহে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। পরে পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা সেখানে যান। সন্ধ্যায় এ খবর পাঠানোর সময় তার নমুনা সংগ্রহ ও লাশ গাইবান্ধার বাড়িতে নেয়ার প্রস্তুতি চলছিল। প্রশাসন রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত ওই বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করেছে। ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নাটোর : নাটোরে জ্বর, সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত হয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। নাটোর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুর রহমান জানান, কাফুরিয়া গ্রামের এক ব্যক্তি জ্বর, সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। এ অবস্থায় শুক্রবার রাতে তার মৃত্যু হয়। নাটোর হাসপাতালের একটি দল ঘটনাস্থলে গেছে নমুনা সংগ্রহের জন্য। এ নমুনা পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে পাঠানো হবে।
ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের দক্ষিণ বঠিনা গ্রামের এক মুক্তিযোদ্ধা শনিবার বিকালে নিজ বাড়িতে মারা যান। ইউপি চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার বর্মণ বলেন, তিনি এক মাস ধরে জ্বর-শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।
সৈয়দপুর (নীলফামারী) : সৈয়দপুরে সর্দিজ্বরে আক্রান্ত এক ব্যক্তি মারা গেছেন। জুমার নামাজ শেষে বাসায় ছটফট করছিলেন ওই বক্তি। পরে পরিবারের লোকজন তাকে সৈয়দপুর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসেন। করোনাভাইরাস সংক্রমণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আরিফুল হক সোহেল জানান, শহরের নয়াটোলা মহল্লার ওই ব্যক্তিকে তার স্বজনরা বিকালে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কিন্তু এর আগেই তার মৃত্যু হয়। এ অবস্থায় লাশ ফিরিয়ে নিয়ে যান পরিবারের লোকজন। পরিবারের লোকজন জানান, ৬-৭ দিন ধরে সর্দিজ্বরে ভুগছিলেন ওই ব্যক্তি। স্বাস্থ্য বিভাগের সহকারী পরিচালক ডা. শহীদুজ্জামান বলেন, আমরা জেনেছি ওই ব্যক্তি সাত দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। ফলে বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করেছি।
নেত্রকোনা ও খালিয়াজুরী : নেত্রকোনার খালিয়াজুরীতে সর্দিজ্বর ও শ্বাসকষ্টজনিত কারণে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় মেয়ের বাসায় অবস্থান করছিলেন। কিছুদিন আগে তিনি সর্দিজ্বর নিয়ে বাড়িতে আসেন। শনিবার সকালে অসুস্থ অবস্থায় তিনি বাড়িতেই মারা যান। খালিয়াজুরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএইচএম আরিফুল ইসলাম জানান, করোনার উপসর্গ থাকায় তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তার বাড়িটি লকডাউন করা হয়েছে।
কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) : রাজনগর উপজেলায় জ্বর সর্দি-কাশির লক্ষণ নিয়ে শনিবার সকালে ৪৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তবে স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, তার মধ্যে করোনার কোনো লক্ষণ ছিল না। বেলা ২টার দিকে র‌্যাপিড রেসপন্স টিমের সদস্যরা মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন অফিসে পাঠিয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ঊর্মি রায় জানান, ওই ব্যক্তির মাঝে কিছু লক্ষণ ছিল। তার পরিবারকে কোয়ারেন্টিনে থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ভাণ্ডারিয়া (পিরোজপুর) : ভাণ্ডারিয়ায় করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া শিক্ষার্থী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিল না বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এইচএম জহিরুল ইসলাম। তিনি জানান, শনিবার আইইডিসিআরের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। রিপোর্টে নেগেটিভ এসেছে। তিনি ইতোমধ্যে ওই এলাকার ২৩৫টি পরিবারকে কোয়ারেন্টিন মুক্ত করতে এবং ওই পরিবারকে লকডাউন তুলে দিতে উপজেলা প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়েছেন। তবে তিনি সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সবাইকে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার ) : শ্রীমঙ্গলে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া পাশের বাসার এক কিশোরীর একই উপসর্গ দেখা দিলে তাকে সিলেটে সন্দেহজনকভাবে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় উপজেলা প্রশাসন ওই এলাকায় চলাচল সীমিত করে মেয়েটির বাড়িতে যাওয়ার রাস্তার মুখে লাল পতাকা লাগিয়ে দিয়েছে। ওই এলাকার ১৩৪ জনকে নিজ নিজ ঘরে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও করোনাভাইসার প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ডা. মো. সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন, ‘মেয়েটির শ্বাসকষ্ট রোগ ছিল, তাই আমাদের সন্দেহ হলে তাকে সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহম্মেদ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেই। এছাড়া শুক্রবার ওই মেয়েটির পাশের বাসায় এক নারী মারা যান। হাঁপানি রোগে ওই নারী মারা যান বলে তিনি জানান।
চাঁদপুর : মতলব উত্তর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের মুন্সিরকান্দি গ্রামে জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় শনিবার আশপাশের পাঁচটি বাড়ি লকডাউন করেছে প্রশাসন। গ্রামের মো. আলম জানান, ওই নারী তিন দিন আগে নারায়ণগঞ্জ থেকে বাড়িতে আসেন। বাড়িতে আসা থেকেই তিনি জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। অসুস্থতা নিয়েও তিনি কয়েকটি বাড়িতে ঘোরাফেরা করেছেন। পরে শুক্রবার রাতে ঘরের ভেতরে তিনি মারা যান। আমরা শনিবার ভোরে বিষয়টি টের পেয়ে পুলিশকে খবর দেই। পরে পুলিশের সহায়তায় লাশ উদ্ধার করা হয়। মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুসরাত জাহান মিথেন বলেন, সিভিল সার্জনের নির্দেশে ওই নারীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত তিন বাড়ির ২০-২৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।