এশিয়ার দেশগুলোয় কমতির দিকে দাম

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ ভারত, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম—বিশ্বের শীর্ষ তিন চাল রফতানিকারক দেশ। এশিয়া ও আফ্রিকার বাজারে আমদানি করা চালের বেশির ভাগ জোগান দেয় এ তিন দেশ। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও নভেল করোনাভাইরাসের মহামারীর কারণে কিছুদিন ধরে এসব দেশের চালের বাজার তুলনামূলক চাঙ্গা ছিল। তবে সর্বশেষ সপ্তাহে ভারত ও থাইল্যান্ডে রফতানিযোগ্য চালের দাম কমে এসেছে। রফতানি সাময়িক স্থগিত করায় পণ্যটির দাম নিয়ে তথ্য প্রকাশ করেনি ভিয়েতনাম। খবর বিজনেস রেকর্ডার ও রয়টার্স।
সর্বশেষ সপ্তাহে ভারতের বাজারে রফতানিযোগ্য ৫ শতাংশ ভাঙা চাল টনপ্রতি ৩৬১-৩৬৫ ডলারে বিক্রি হয়েছে। আগের সপ্তাহেও খাদ্যপণ্যটি টনপ্রতি ৩৬৩-৩৬৭ ডলারে বিক্রি হয়েছিল। সেই হিসেবে এক সপ্তাহে বিশ্বের শীর্ষ চাল রফতানিকারক দেশ ভারতের বাজারে খাদ্যপণ্যটির দাম কমেছে টনে ২ ডলার।
প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতজুড়ে লকডাউন চলছে। মানুষ কার্যত ঘরবন্দি জীবন কাটাচ্ছে। এটা চালের রফতানি মূল্যে পতনের বড় একটি কারণ বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে রাইস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট বিভি কৃষ্ণ রাও বলেন, দেশজুড়ে লকডাউনের কারণে চালের সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। বাজারে অভ্যন্তরীণ ব্যবহারের জন্য চাল সরবরাহ কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও রফতানি করা যাচ্ছে না। এ কারণে দাম কমেছে।
নভেল করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর জের ধরে মুদ্রাবাজারে ভারতীয় রুপির দরপতন ঘটেছে। এটাও ভারতের বাজারে চালের দাম কমে আসার অন্যতম কারণ।
নভেল করোনাভাইরাসের পাশাপাশি তীব্র খরায় ভুগছে পুরো থাইল্যান্ড। দেশটির চাল উৎপাদনকারী অঞ্চলগুলোয় তাপমাত্রা রয়েছে কিছুটা বেশি। ব্যাহত হয়েছে উৎপাদন ও সরবরাহ। এর জের ধরে দেশটিতে চালের দাম বেড়ে ছয় মাসের সর্বোচ্চে উঠেছিল। তবে গত সপ্তাহে থাইল্যান্ডে রফতানিযোগ্য ৫ শতাংশ ভাঙা চাল টনপ্রতি ৪৬৮-৪৯৫ ডলারে বিক্রি হয়েছে। আগের সপ্তাহে খাদ্যপণ্যটি টনপ্রতি ৪৮০-৫০৫ ডলারে বিক্রি হয়েছিল। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ চাল রফতানিকারক দেশ থাইল্যান্ডে রফতানিযোগ্য চালের দাম কমেছে টনে সর্বোচ্চ ১২ ডলার।
ব্যাংককভিত্তিক ট্রেডাররা জানান, খরা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। সরবরাহও খুব একটা বাড়েনি। তবে নভেল করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউন থাকায় রফতানি খাত স্থবির হয়ে পড়েছে। এ কারণে রফতানিযোগ্য চালের দাম সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে কমে এসেছে।
এদিকে মহামারীর কারণে চাল রফতানিতে নতুন চুক্তি সই বন্ধ রেখেছে খাদ্যপণ্যটির তৃতীয় শীর্ষ রফতানিকারক দেশ ভিয়েতনাম। এ কারণে সর্বশেষ সপ্তাহে দেশটির বাজারে চালের দাম নিয়ে তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। আশা করা হচ্ছে, এপ্রিলের শুরু থেকে ভিয়েতনামের চাল রফতানি ফের গতিশীল হতে পারে।