লকডাউন: বানীশান্তার যৌনকর্মীদের সহায়তা অপ্রতুল

0

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি॥ করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে বাগেরহাটের মোংলা বন্দরকেন্দ্রিক গড়ে ওঠা দেশের অন্যতম বৃহৎ বানীশান্তা যৌনপল্লিটি অনির্দিষ্টকালের জন্য লকডাউন (অবরুদ্ধ) ঘোষণা করা হয়েছে। খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ যৌথভাবে গত ২৪ মার্চ এ ঘোষণা দেয়। পশুর নদের পশ্চিম পাড়ে দাকোপ উপজেলায় অবস্থিত এই পল্লিতে এরই মধ্যে লোকজনের যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে এখানকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, সরকারের দেওয়া সহায়তা খুবই অপ্রতুল।
দাকোপের ইউএনও আ. ওয়াদুদ জানান, লকডাউনের সময় খাদ্য সহায়তা হিসেবে প্রাথমিক পর্যায়ে এখানকার প্রতি যৌনকর্মীকে ১০ কেজি চাল ও ৫০০ টাকা করে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। অবস্থা বুঝে প্রত্যেক পরিবারকে আরও চাল ও অর্থ সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে। দাকোপ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, নদীপথে ট্রলারে কেউ যাতে যৌনপল্লিতে প্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য পুলিশ পাহারা জোরদার করা হয়েছে। এ ছাড়া উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ওই এলাকায় পুলিশ সার্বক্ষণিক বিশেষ টহল ও সতর্ক দৃষ্টি রাখছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বানীশান্তা যৌনপল্লিতে গিয়ে কথা হয় যৌনকর্মীদের সংগঠন নারী জাগরণী সংঘের সভানেত্রী রাজিয়ার সঙ্গে। তিনি চাল ও অর্থ সহায়তা পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, এখন পর্যন্ত যে সরকারি সহায়তা প্রশাসন থেকে দেওয়া হয়েছে, তা খুবই অপ্রতুল। এখানকার প্রত্যেক পরিবারে প্রায় তিন থেকে সাত-আটজন সদস্য রয়েছেন। এরই মধ্যে সরকারের দেওয়া ১০ কেজি চাল ও ৫০০ টাকা অনেকেরই শেষের পথে। এ ছাড়া অনেক যৌনকর্মীর জমানো অর্থও শেষ হওয়ার পথে। কেউ কেউ আবার ঘরের আসবাবপত্র বিক্রি করে খাবার সংগ্রহসহ সংসার চালাচ্ছেন। অন্যদিকে অধিকাংশ বাসিন্দাই বকেয়া ঘরভাড়া পরিশোধ করতে পারেননি। এ অবস্থায় এ নেত্রী মানবিক কারণে সরকারি সহায়তা বৃদ্ধি ও বাড়িওয়ালাকে বকেয়া ঘরভাড়া যাতে না নেওয়া হয়, তার জোরালো দাবি জানান।