যত দ্রুত সম্ভব আগ্রহী বৃটিশ নাগরিকদের বাংলাদেশ ত্যাগের আহ্বান

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ করোনা সংক্রমণ নিয়ে বাংলাদেশে আবারও ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে বৃটেন। সর্বশেষ চারটি দেশ বাদে বাণিজ্যিক যাত্রীবাহী সব আন্তর্জাতিক বিমানের ফ্লাইট ২১শে মার্চ মধ্যরাত থেকে ৩১শে মার্চ পর্যন্ত স্থগিত ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। এর প্রেক্ষিতে বৃটিশ সরকার তার নাগরিকদের ওই সতর্কতা দিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে বলা হয়েছে ইংল্যান্ড, চীন, হংকং ও ব্যাংকক ছাড়া যে কোনো দেশ থেকে আসা কোনো ফ্লাইটকে বাংলাদেশের কোনো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে দেয়া হবে না। বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশে দেখা দিয়েছে করোনা সংক্রমণ। এর প্রেক্ষিতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিয়েছে কাতার, বাহরাইন, কুয়েত, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর ও ভারত থেকে আসা কোনো বাণিজ্যিক যাত্রীবাহী বিমানকে বাংলাদেশে অবতরণ করতে দেয়া হবে না ২১শে মার্চ মধ্যরাত থেকে ৩১শে মার্চ পর্যন্ত। সংক্ষিপ্ত সময়ের নোটিশে এসব দেশের তালিকা এবং ফ্লাইট স্থগিতের সময়সীমা বর্ধিত করা হতে পারে। উল্লেখ্য, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লন্ডন এবং ম্যানচেস্টারের মধ্যে চলাচল করছে।
বৃটিশ সরকারের ওই বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, হংকং, চীন ও থাইল্যান্ডের মধ্যে ফ্লাইট অব্যাহত থাকবে বলে তারা মনে করছে। তাই যেসব বৃটিশ নাগরিক বাংলাদেশ ত্যাগ করতে চান তাদেরকে যত দ্রুত সম্ভব সে আয়োজন করা উচিত বলে সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে।
করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন রকম পদক্ষেপ নিয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশে প্রবেশের প্রেক্ষাপটে। বিদেশী কোনো নাগরিক যদি ইউরোপীয় অঞ্চল অথবা ইরান সফর করে থাকেন তাহলে ১লা মার্চ থেকে তিনি বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবেন না। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন অথবা ইরানের নাগরিক তারা যদি ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইরানের বাইরে থেকে থাকেন তাহলে ২০শে ফেব্রুয়ারি থেকে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারেন। বাংলাদেশ সরকার ইঙ্গিত দিয়েছে, বৃটেন থেকে পর্যটকদের প্রবেশ প্রত্যাখ্যান করতে পারে তারা। অল্প সময়ের নোটিশে এটা বাস্তবায়ন করা হতে পারে। বাংলাদেশে অন অ্যারাইভালের ক্ষেত্রে সব বিদেশী নাগরিককে তাৎক্ষণিকভাবে মেডিকেল সনদ দেখাতে হবে, যা তিনি সফরের ৭২ ঘন্টার মধ্যে ইস্যু করা হয়েছে এবং তাতে বলা হয়েছে তিনি করোনার লক্ষণ থেকে মুক্ত। বৃটেনসহ আক্রান্ত দেশগুলো থেকে আসা যাত্রীদের অবশ্যই ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে।