যশোরে নারীর মাথার চুল কেটে দেওয়ার মামলায় ৪ জন আটক

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর সদর উপজেলার মালঞ্চী মধ্যপাড়ায় কাজল রেখা (৪২) নামে একজন নারীকে মারধরের পর মাথার চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার ভোরে মালঞ্চী মধ্যপাড়ায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। পরে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালি থানা পুলিশের এসআই ইবনে খালিদ হোসেন জানান, কাজল রেখা মালঞ্চী মধ্যপাড়ার নওয়াব আলীর স্ত্রী। তাকে মারধর ও মাথার চুল কেটে দেয়ার অভিযোগ তিনি ৭ জনকে আসামি করে গত শনিবার গভীর রাতে কোতয়ালি থানায় একটি মামলা করেছেন। এরপর রোববার ভোরে অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত ৪ আসামিকে আটক করা হয়। পুলিশ জানায়, মামলার এজাহারভুক্ত ৭ আসামি হচ্ছেন, মালঞ্চী মধ্যপাড়ার আব্দুল কাদের বিশ্বাসের ছেলে রাজিবুল হক শিমুল (৩০), মৃত হায়দার আলীর ছেলে রিপন হোসেন (৩০), তার স্ত্রী জোসনা বেগম (২২), মৃত আকবার আলীর ছেলে আজগর আলী (৩৫), তার স্ত্রী বিউটি খাতুন (২৮), পেচো আলীর ছেলে আকতার আলী (৩২) ও তার স্ত্রী বিলকিস বেগম (২৫)। এর মধ্যে রিপন হোসেন, বিউটি খাতুন, বিলকিস বেগম ও জোসনা বেগমকে তাদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়। নির্যাতিত কাজল রেখার অভিযোগ, তার প্রথম স্বামী মারা যাওয়ার পর তিনি নওয়াব আলীকে বিয়ে করেছেন। গত শনিবার সকাল ১০টার দিকে উল্লিখিত আসামিরা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাদের বাড়িতে এসে তার স্বামীকে গালিগালাজ করতে থাকেন। তারা তাদের ভিটেবাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দেন। এক পর্যায়ে তারা তার স্বামীকে মারধরের চেষ্টা করেন। এ সময় কাজল রেখা এর প্রতিবাদ করলে আসামিরা তাকে মারধর করেন। কাইচি দিয়ে তার মাথার চুল কেটে দেওয়া হয়। মারধর সইতে না পেরে তিনি বাড়ির উঠোনে পড়ে যান। এরই মধ্যে কাজল রেখার স্বামী নওয়াব আলীর চিৎকার শুনে আশেপাশে লোকজন ছুটে এলে আসামিরা হুমকি ধামকি দিয়ে চলে যায়। স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, কাজল রেখার প্রথম স্বামী মারা যাওয়ার পর তিনি চাচাশ্বশুর নওয়াব আলীকে বিয়ে করেছেন। এ কারণে তাকে মারধর করে মাথার চুল কেটে দিয়েছেন ওই আসামিরা। এ ঘটনার পর আহত কাজল রেখাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে দেন স্বজনেরা।