করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় যশোরে ৯শ’ শয্যা

0

বিএম আসাদ ॥ করোনাবাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে সীমান্তবর্তী জেলা যশোরে ব্যাপক সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনও স্বাস্থ্য বিভাগ আক্রান্তদের চিকিৎসাসেবায় ৯০০টি বেড নির্ধারণ করেছে। প্রয়োজনে আরও বেড করা হবে এবং সেনাবাহিনীর সহায়তা চাওয়া হবে।  যশোর সিভিল সার্জন অফিসের এক পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, গত ১৯ জানুয়ারি হতে ৮ মার্চ পর্যন্ত ৪৮ দিনে বেনাপোল স্থলবন্দরে ভারত থেকে আগত ১ লাখ ৩৯ হাজার ১শ’ ৪৫ জন যাত্রীকে পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষাকৃতদের দেহে এ পর্যন্ত কোন করোনাভাইরাসের আলামত পাওয়া যায়নি বলে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ দাবি করেছে। এর মধ্যে ড্রাইভার, হেলপার, ট্রেনের স্টাফ, যাত্রী রয়েছে।
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানিয়েছেন, প্রথমদিকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ৪টি এবং জেলার ৭টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩টি করে ২১টি বেডের আইসোলেশন ওয়ার্ড হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে সময়ের প্রয়োজনে নতুন করে আরও প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই তখন যশোর শহরে ২শ’টি বেড নির্ধারণ করা হয়েছে। এর ভেতর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ১০টি বেডের আইসোলেশন ওয়ার্ড, বকচরস্থ বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ৪০টি বেডের আইসোলেশন ওয়ার্ড করা হয়েছে। বাকি বেসরকারি হাসপাতাল। কিনিকে ৫টি করে কিংবা তার বেশি সংখ্যক বেড আইসোলেশন ওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহৃত হবে। ভয়াবহতা বৃদ্ধি পেলে রোগীদের জন্য কোয়ারেন্টাইন ক্যাম্প চালু করা হবে। এর জন্য জায়গা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যদি ব্যাপকভাবে এক বা একাধিক স্থানে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে, তবে সেনাবাহিনীর সহায়তা চাওয়া হবে। এছাড়া যশোর সদর উপজেলা বাদে ৭টি উপজেলায় ১শ’টি করে বেড করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। ৫০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং ৫০টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রাইভেট হসপিটাল কিংবা স্কুল-কলেজ বন্ধ করে সেখানে কোয়ারেন্টাইন ক্যাম্পে আক্রান্তদের চিকিৎসা দেয়া হবে। গত ৩ মার্চ যশোর কালেক্টরেট সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গঠিত জেলা কমিটির ১ম সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ সভায় সভাপতিত্ব করেন সদস্য সচিব সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন, যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপ কুমার রায় সভায় বক্তব্য রাখেন।