ম্যাজিস্ট্রেট স্বামীসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষিকার মামলা

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট স্বামী মো. মাসুদ রানাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ এনে মঙ্গলবার আদালতে মামলা করেছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফারজানা নাসরিন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের (২০০০ সালের সংশোধিত/০৩) এর ১১ (গ)/৩০ ধারায় মামলাটি করা হয়। যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) টি এম মুসা এ সংক্রান্তে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর আদেশের দিন ধার্য করেছেন।
অভিযুক্ত জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ রানা পাবনার সাথিয়া উপজেলার আফতাব নগর গ্রামের মো. আব্দুল আলিমের ছেলে। বর্তমানে তিনি নীলফামারীর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কর্মরত। অভিযুক্ত অপর দুজন হচ্ছেন-মো. মাসুদ রানার বোন মোছা. রানী খাতুন ও তার স্বামী জিয়াউর রহমান।
সহকারী অধ্যাপক ফারজানা নাসরিনের অভিযোগ, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ৫ লাখ টাকার দেনমোহরে মো. মাসুদ রানার সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় তার পিতা ৫ লাখ টাকার বিভিন্ন মালামাল ও ২ লাখ টাকার সোনার অলঙ্কার জামাইকে যৌতুক হিসেবে প্রদান করেন। কিন্তু নদদ মোছা. রানী খাতুন ও তার স্বামী জিয়াউর রহমানের কু-পরামর্শে ঢাকার পূর্বাঞ্চলে প্লট ক্রয় করার জন্য বিভিন্ন সময় ফারজানা নাসরিনের কাছে যৌতুক হিসেবে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন মো. মাসুদ রানা। এর প্রেক্ষিতে তিনি বিভিন্নভাবে ৫ লাখ টাকা সংগ্রহ করে স্বামীকে দেন। কিন্তু বাকি ৫ লাখ টাকার যৌতুকের দাবিতে তাকে নির্যাতন করতে থাকেন মো. মাসুদ রানা। এ ঘটনায় ফারজানা নাসরিন স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা করেন। এই মামলাটি আপোষ মীমাংসার জন্য মো. মাসুদ রানা, তার বোন ও ভগ্নিপতিকে নিয়ে গত ১৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে যশোর শহরের পালবাড়ি এলাকায় ফারজানা নাসরিনের পিতার বাড়িতে আসেন। কিন্তু সেখানে এসেও ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করা হয়। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মো. মাসুদ রানা স্ত্রী ফারজানা নাসরিনকে মারধর করলে তিনি জখম হন। এর স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করেন। পরে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নেওয়ার পর গত ২০ সেপ্টেম্বর থানায় গেলে পুলিশ তাকে আদালতে মামলা করার জন্য পরামর্শ দেয়। এ কারণে তিনি আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন। উল্লেখ্য, এর আগে যৌতুক দাবির অভিযোগ এনে স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন ফারজানা নাসরিন।