আমার আস্থা ভোটারে আর প্রতিদ্বন্দ্বীর আস্থা প্রশাসনে : রবি

0

লোকসমাজ ডেস্ক ॥ ঢাকা-১০ সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শেখ রবিউল আলম রবি বলেছেন, আওয়ামী লীগের জনগণের প্রতি আস্থা নেই। মানুষ দুর্নীতি-দুঃশাসনে অতিষ্ঠ। জনগণ এই ধরনের স্বৈরাচারীর অবসান চায়। আমার ভোটারদের প্রতি আস্থা রয়েছে। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর আস্থা ক্ষমতাসীন দল, প্রশাসন এবং প্রধানমন্ত্রীর ওপর। তিনি মনে করেন তাদের সুনজর পেলে নির্বাচিত হওয়া সম্ভব। তাদের এমপিরাও সেভাবে সুনজর পেয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছে। সোমবার রাজধানীর রাইফেল স্কয়ার, স্টার কাবাব, পপুলার হাসপাতাল এলাকায় গণসংযোগের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ রবিউল আলম বলেন, ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে ব্যাপক অনীহা। নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি আস্থা নেই। আমি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপির প্রার্থী। ভোট প্রদান করে নির্বাচিত করলে আমি তাদের যথাযথভাবে প্রতিনিধিত্ব করবো। তিনি বলেন, একজন সংসদ সদস্যের কাজ হলো জনপ্রতিনিধিত্ব করা। ৩ লাখ ১৩ হাজার ভোটার নির্বাচিত করে সংসদে পাঠাবে তাদের সমস্যার কথা বলার জন্য। সেটাকে সমাধান করার জন্য সচেষ্ট থাকবো। রাষ্ট্রে তাদের অধিকার তুলে ধরার জন্য। আমি ২৮ বছর যাবত এই এলাকায় পরীক্ষা দিয়েছি। আমি তাদের পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকব। আমার দায়িত্ব রয়েছে এই এলাকার জনপ্রতিনিধিত্ব করার জন্য। এই এলাকার একজন লোকের দরকার প্রতিনিধিত্ব করার জন্য, বাইরের লোকের দরকার না। আমি তাদের ভাই, বন্ধু, প্রতিবেশী। আমি তাদের প্রতিনিধিত্ব করবো এটাই আমার ন্যায্য পাওনা। এই ন্যায্য তারা বোঝে বিধায় আমাকে সমর্থন জানাচ্ছেন। ভোট দিয়ে বিজয়ী করার নিশ্চয়তা দিচ্ছেন। এই এলাকার সন্তান হিসেবে তাদের সাথে আমার নাড়ির সম্পর্ক। আমার প্রাপ্য অনুযায়ী সাড়া পাচ্ছি।
এই এলাকার কী কী সমস্যা রয়েছে বলে আপনি মনে করেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ধানের শীষের প্রার্থী রবি বলেন, ঢাকা-১০ আসন একটি অভিজাত আবাসিক এলাকা। সেটা এখন জরাজীর্ণ বস্তির মতো হতে চলেছে। আবাসিক সুবিধা একেবারে নেই বললেই চলে। বাণিজ্যিক এলাকা হয়ে গেছে। এটা ধানমন্ডিবাসীর প্রত্যাশা ছিল না এবং এমন গড়ে ওঠার কথাও না। এটাকে পরিশুদ্ধ করার ব্যবস্থা করতে হবে। মাদক ও স্যুয়ারেজ ব্যবস্থার সমস্যা রয়েছে। জলবদ্ধতা মারাত্মক সমস্যা। রাস্তাগুলো এমন সরু চলাচলের অযোগ্য। এই এলাকার জনপ্রতিনিধি মেয়র হয়েছেন। তিনি অবশ্যই এসবের প্রতি নজর দেবেন। তিনি যেগুলো করতে অক্ষম হবেন আমি রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনার মধ্য থেকে জনগণকে সাথে নিয়ে অধিকার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবো। আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী একবেলা প্রচারণা চালান আর আপনি সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কেন প্রচারণা চালাচ্ছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে রবি বলেন, আমি মনে করি জনপ্রতিনিধি হওয়ার জন্য জনগণের ভোটের প্রয়োজন। আমার দল বিএনপি এবং আমি সেটাই বিশ্বাস করি। তাই ভোটারদের কাছে যাচ্ছি, দোয়া চাচ্ছি সমর্থন চাচ্ছি। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তার দল নির্বাচন ব্যবস্থাকে এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে তারা মনে করে নৌকা প্রতীক মানে বিজয়ী হওয়া। আওয়ামী লীগ জনগণের কাছে যেতে চায় না। ভোট চাইতে যায় না। জনগণের প্রতি আস্থা নেই। জনগণের মতামতের ওপর নির্ভর করে না, বিধায় আওয়ামী লীগ আজ জনবিচ্ছিন্ন দলে পরিণত হয়েছে। নির্বাচনে অংশ নিতে চায় না। নির্বাচন করতে চায় না। নির্বাচন করতে ভয় পায়। দিনের ভোট রাতে করে ফেলে। তাদের জনআতঙ্ক রয়েছে। মানুষ দুর্নীতি-দুঃশাসনে অতিষ্ঠ। জনগণ এই ধরনের স্বৈরাচারী সরকার আর কখনও দেখেছে বলে মনে হয় না। তারা সকলেই বলছে এই ব্যবস্থার অবসান হওয়া দরকার। আমার ভোটারদের প্রতি আস্থা রয়েছে। এ সময় ধানমন্ডি থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি কাবিরুল হায়দার চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসাইন সৈকত, শ্রমিক দলের সভাপতি আবু কাওছারসহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।