‘লিগ জিততে সব ট্রফি বিসর্জন দেবে লিভারপুল’

0

লোকসমাজ ডেস্ক ॥ উড়তে থাকা লিভারপুলের ডানায় লেগেছে আঘাত। অপ্রতিরোধ্য দলটি কিনা সর্বশেষ চার ম্যাচের তিনটিতেই হেরেছে! যার সর্বশেষটি আবার চেলসির মাঠে। স্টামফোর্ড ব্রিজে ২-০ গোলের হারে এফএ কাপ থেকে বিদায়ের সঙ্গে ত্রিমুকুট জেতার স্বপ্নও শেষ অলরেডদের। যদিও এতে লিভারপুল সমর্থকদের ভেঙে পড়ার কোনও কারণ দেখেন না দলটির সাবেক খেলোয়াড় ড্যানি মার্ফি। হঠাৎই ছন্দপতন লিভারপুলের। শুরুটা চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে আতলেতিকো মাদ্রিদের মাঠে ১-০ হারে। বড় ধাক্কাটা খেয়েছে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল প্রিমিয়ার লিগের পরের ম্যাচে। চলতি মৌসুমে লিগে কোনও ম্যাচ না হারা দলটি ৩-০ গোলে হেরে যায় অবনমনের ঝুঁকিতে থাকা ওয়াটফোর্ডের ‍কাছে। সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার অভিযানে হতাশা বাড়িয়ে দিল চেলসি। সব মিলিয়ে চার ম্যাচের তিনটিতে হারা লিভারপুল ঘুরে দাঁড়ানোর পথ খুঁজছে সপ্তাহান্তে বোর্নমাউথের বিপক্ষে। যদিও হতাশার কিছু দেখছেন না অ্যানফিল্ডে ১৯৯৭ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত কাটিয়ে যাওয়া মার্ফি। সাবেক ইংলিশ মিডফিল্ডারের মতে, লিভারপুল ভক্তরা প্রিমিয়ার লিগ জিততে যেকোনও ট্রফি বিসর্জন দিতে প্রস্তুত।
তার ভাবনা অযৌক্তিকও নয়। ইংলিশ প্রথম বিভাগ ফুটবল প্রিমিয়ার লিগ নাম নেওয়ার পর একবারও ট্রফি জিততে পারেনি লিভারপুল। ৩০ বছরের লিগ শিরোপাখরা কাটানোর সুবর্ণ ‍সুযোগ এবার। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির চেয়ে ২২ পয়েন্টে এগিয়ে থাকায় আগাম উৎসবের পরিকল্পনা সেরে রেখেছেন অলরেডস সমর্থকেরা। তাই টকস্পোর্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মার্ফি বলতে পারছেন, ‘৩০ বছর ধরে লিগ শিরোপা জিততে পারে না লিভারপুল। লিগ জেতার চাহিদা এখন সবচেয়ে বেশি, আর এটা প্রায় হয়েই গেছে। আর একটু অপেক্ষা। এই গ্রহের প্রত্যেকটি লিভারপুল ভক্ত লিগ জিততে খুশি মনে সব ট্রফি বিসর্জন দেবে। আর সেটা এমনকি চ্যাম্পিয়নস লিগও।’ ১৯৮৯-৯০ মৌসুমে শেষবার লিগ জিতেছে লিভারপুল। গত বছর চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার পর এবার সেই আক্ষেপ দূর করার নিশ্বাস দূরত্বে তারা। ক্লপের দল কাজটি সফলভাবে করতে পারলে সেটি চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার চেয়েও কম হবে না বলে মনে করেন মার্ফি, “তারা (লিভারপুল) খুব সাবলীল ও স্বচ্ছন্দে কাজটি করছে। আমার মতে ভক্তরা খুশি এবং ভাবছে, ‘আসলে আমরা আবারও চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে যাচ্ছি।’ একই সঙ্গে তারা এটাও মনে করছে, ‘এ বছর লিগ শিরোপাই যথেষ্ট।’ সব মিলিয়ে আমি বলব, লিভারপুল ভক্তরা মোটেও চিন্তিত নয়।”