সূচক বাড়ানোর নেতৃত্বে আল-আরাফাহ্ ব্যাংক

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ টানা সাত কার্যদিবস দরপতনের পর সোমবার দেশের শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলেছ। এদিন মূল্যসূচক ঊর্ধ্বমুখী রাখতে সব থেকে বড় অবদান রেখেছে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক।
শেয়ারবাজারের স্টেকহোল্ডারদের একটি অংশের দাবির প্রেক্ষিতে গত ১০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলোকে বিশেষ তহবিল গঠনের সুযোগ দেয়া হয়। এতে শেয়ারবাজারে বড় ধরনের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার দেখা মেলে। কিন্তু হঠাৎ করেই বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়ান। এতে আবার টানা পতনের মুখে পড়ে শেয়ারবাজর।
এতে ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত ছিল শেয়ারবাজারে টানা দরপতন। এই পতনের কবলে পড়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক কমে ৩৪৮ পয়েন্ট। এ পরিস্থিতিতে সোমবার শেয়ারবাজারে আবার ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলেছে।
এদিন সূচক ঊর্ধ্বমুখী রাখতে সব থেকে বড় ভূমিকা রেখেছে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক। প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের এই দাম বাড়ার ফলে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে ১১ দশমিক ২৮ পয়েন্ট।
ডিএসইর প্রধান সূচক বাড়াতে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের পর বড় অবদান রেখেছে অ্যাপেক্স ফুড। এই কোম্পানিটি ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বাড়িয়েছে ২ দশমিক ৯২ পয়েন্ট।
এছাড়া এসিআই ফরমুলেশন ২ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট, অ্যাকটিভ ফাইন ২ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট, আমরা নেটওয়ার্ক ১ দশমিক ৪৯ পয়েন্ট, আলিফ ১ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট, আমরা টেকনোলজি ১ দশমিক ২৩ পয়েন্ট, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং ১ দশমিক ১৯ পয়েন্ট, অ্যারামিট দশমিক ৯৯ পয়েন্ট এবং আলহাজ্ব টেক্সটাইল দশমিক ৮৩ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে।
অপরদিকে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচকে সব থেকে বেশি ঋণাত্মক প্রভাব ফেলেছে এবি ব্যাংক। এই কোম্পানিটির কারণে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক কমেছে ২ দশমিক শূন্য ১ পয়েন্ট। এর পরের স্থানে রয়েছে অ্যাপেক্স ট্যানারি। এই কোম্পানিটির কারণে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক কমেছে ১ দশমিক শূন্য ৫ পয়েন্ট। এর পরের স্থানে থাকা আফতাব অটো দশমিক ৫১ পয়েন্ট সূচক কমিয়েছে।
এছাড়া এএফসি এগ্রো দশমিক ৩১ পয়েন্ট, অ্যাপেক্স স্পিনিং দশমিক ২৯ পয়েন্ট, আমান কটন দশমিক ২৭ পয়েন্ট, এমসিএল প্রাণ দশমিক ২৩ পয়েন্ট, অলটেক্স দশমকি ১৫ পয়েন্ট সূচক কমিয়েছে।