টানা পাঁচ মাস নিম্নমুখী মালয়েশিয়ার পাম অয়েল মজুদ

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ চলতি বছরের জানুয়ারিসহ টানা পাঁচ মাস নিম্নমুখী মালয়েশিয়ার পাম অয়েল মজুদ। জানুয়ারির শেষ নাগাদ দেশটিতে পণ্যটির মজুদ কমে ২০ লাখ টনের নিচে নেমেছে। অভ্যন্তরীণ উত্পাদন ব্যাপক হারে কমায় দেশটিতে ভোজ্যতেলটির মজুদ কমছে বলে জানিয়েছে মালয়েশিয়ান পাম অয়েল বোর্ড (এমপিওবি)। খবর রয়টার্স।
এমপিওবির তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারিতে মালয়েশিয়ায় পাম অয়েলের মজুদ কমে ১৭ কোটি ৬০ লাখ টনে নেমেছে, যা আগের মাসের তুলনায় ১২ দশমিক ৭ শতাংশ কম। একই সঙ্গে তা ২০১৭ সালের জুনের পর পণ্যটির সর্বনিম্ন মজুদ।
মালয়েশিয়া বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ পাম অয়েল উত্পাদনকারী দেশ। কিন্তু গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে দেশটিতে পণ্যটির উত্পাদনে নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে। প্রতিকূল আবহাওয়া ও পর্যাপ্ত সারের অভাবে দেশটিতে পণ্যটির উত্পাদন কমছে। পর্যাপ্ত সার প্রয়োগের অভাবে দেশটিতে পামের ফলন কমেছে। এছাড়া মাত্রাতিরিক্ত খরা দেশটিতে উত্পাদিত পামের তেল উত্পাদন সক্ষমতা কমিয়ে দিয়েছে।
এমপিওবির তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারিতে মালয়েশিয়ায় সব মিলিয়ে ১১ লাখ ৭০ হাজার টন পাম অয়েল উত্পাদন হয়েছে, যা আগের মাসের তুলনায় ১২ দশমিক ৬ শতাংশ কম। একই সঙ্গে তা ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারির পর পণ্যটির সর্বনিম্ন উত্পাদন।
কুয়ালালামপুরের ফিলিপ ফিউচারসের ইনস্টিটিউশনাল সেলস ম্যানেজার মার্সেলো কালট্রিরা জানান, জানুয়ারিতে মালয়েশিয়ায় পাম অয়েলের মজুদ হ্রাসের পেছনে মূল ভূমিকা পালন করেছে প্রতিকূল আবহাওয়া। পণ্যটির উত্পাদন হ্রাসের জেরে কমছে মজুদ। চলতি ও আগামী মাসেও এ ধারা অব্যাহত থাকতে পারে ।
যা-হোক, জানুয়ারিতে মালয়েশিয়া থেকে পাম অয়েলের রফতানি প্রত্যাশার তুলনায় বেড়েছে। পণ্যটির শীর্ষ ক্রেতা ভারত ও চীন ক্রয় কমিয়ে দেয়ার পরও দেশটি থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ১২ লাখ ১০ হাজার টন পাম অয়েল রফতানি হয়েছে, যদিও তা আগের মাসের তুলনায় ১৩ দশমিক ২ শতাংশ কম।
মালয়েশিয়ার পরিশোধিত পাম অয়েলের শীর্ষ ক্রেতা ভারত। রাজনৈতিক ইস্যুতে বিদায়ী বছরের শেষ দিকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করে। এর জেরে প্রাথমিকভাবে পণ্যটির আমদানি সীমিত পরিসরে কমালেও এক পর্যায়ে সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয় ভারত। এদিকে নভেল করোনাভাইরাসের প্রকোপে চীনও পণ্যটির ক্রয় কমিয়ে দিয়েছে।