খেলার খবর

0

ভারতকে হারিয়ে ইতিহাস গড়ার প্রত্যয় যুবাদের
স্পোর্টস ডেস্ক॥ যুব বিশ্বকাপ ফাইনালে প্রথমবার, প্রতিপ শক্তিশালী ভারত। আছে উত্তেজনা ও স্নায়ুচাপ। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক আকবর আলী জানালেন, নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে ম্যাচটিকে তারা ফাইনাল হিসেবে ভাবছেন না। চারবারের চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে ইতিহাস গড়তে দৃঢ় প্রত্যয়ী তার দল। যুব বিশ্বকাপের পরিসংখ্যানে বাংলাদেশের চেয়ে ঢের এগিয়ে ভারত। ১৩ আসরে এবার দিয়ে সপ্তমবার ফাইনাল খেলতে যাচ্ছে দেশটি। বিভিন্ন টুর্নামেন্টের ফাইনালে ভারতের বিপে মুখোমুখি হওয়ার স্মৃতি খুব একটা সুখকর নয় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের। গত বছর যুব এশিয়া কাপের ফাইনাল ও ইংল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে প্রতিবেশী দেশটির বিপে হেরে শিরোপা স্বপ্ন ভেঙেছিল বাংলাদেশের। সেসব ভেবে অবশ্য ভীত নন আকবর। জানিয়েছেন, ভারতকে হারানোর রসদ আছে তার দলে। এবারের বিশ্বকাপে দণি আফ্রিকার মাটিতে মাহমুদুল হাসান জয়, তৌহিদ হৃদয়, তানজিদ হাসান তামিমরা রান করছেন নিয়মিত। চারের নিচে ইকোনমিতে বোলিং করছেন রকিবুল হাসান, শামীম হোসেন, শরিফুল ইসলামরা। ম্যাচের আগের দিন শনিবার আকবর প্রত্যয়ী কণ্ঠে জানালেন, মাঠে পরিকল্পনার বাস্তবায়নে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তার দল। “ভারত দুর্দান্ত দল। তাদের ব্যাটিং, বোলিং দুই বিভাগই খুব ভালো। টুর্নামেন্টে তারা অপরাজিত, আমরাও। আশা করছি, ভালো একটা ম্যাচ হতে যাচ্ছে। আমরা তাদের নিয়ে যে পরিকল্পনা সাজিয়েছি, সেগুলো যদি মাঠে বাস্তবায়ন করতে পারি, ইনশাল্লাহ ফলাফল আমাদের পে আসবে।” “যদি আমাদের দলের কথা বলি, ব্যাটসম্যান ও বোলার দুটো বিভাগই ভালো। টপ অর্ডাররা রানে আছে, বোলাররা উইকেট নিচ্ছে, ভালো ইকোনোমিতে বল করছে। আমি মনে করি, ভারতের বিপে যদি একইভাবে খেলতে পারি, তাহলে ফলাফল আমাদের অনুকূলে থাকবে।” যুব ওয়ানডেতে টানা নয় ম্যাচ জিতেছে আকবর-হৃদয়রা। ভারতের বিপওে চাপমুক্ত থেকে সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চান আকবর। “ফাইনাল ম্যাচ হলেও এটাকে আমরা ফাইনাল বা বিশ্বকাপের ম্যাচ হিসেবে ভাবছি না। এরকম চিন্তা করলে হয়তোবা চাপ আমাদের দিকে চলে আসতে পারে। পুরো টুর্নামেন্ট আমরা যেভাবে সাধারণ খেলা হিসেবে নিয়েছি, ফাইনালটাকেও সেভাবেই নেওয়ার চেষ্টা করব।” আজ রোববার পচেফস্ট্রুমে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরার লড়াইয়ে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় মাঠে নামবে আকবর আলীর দল।

বল করে আর কুড়িয়ে কাটল দিন
স্পোর্টস ডেস্ক॥ দিনের শুরুটা ছিল স্বপ্নের মতো। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই আবু জায়েদ রাহির শিকার আবিদ আলি। আগের দিন নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৩৩ রানে অল আউট হয় বাংলাদেশ। এরপর আর খেলা হয়নি। নতুন দিনে প্রথম ইনিংস শুরু করবে পাকিস্তান। বাংলাদেশের বোলাররা তো গতরাতে এমন কিছুরই স্বপ্ন দেখে থাকবেন। শুরুটা স্বপ্নের হলেও দিনটা আসলে বাংলাদেশ পার করল চূড়ান্ত হতাশায়। বোলাররা শুধু বল ছুড়ে গেলেন। তাতে রানের পর রান করে গেল পাকিস্তান। ফিল্ডারদের দিন কাটল বল কুড়িয়ে। দ্বিতীয় দিন শেষেই বলতে গেলে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের ভাগ্য পরিষ্কার যেন! প্রথম ইনিংসে এরই মধ্যে ১০৯ রানের লিড নিয়ে পাকিস্তান সেটিই জানান দিচ্ছে। ৩ উইকেটে ৩৪২ রানে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করে স্বাগতিক দল। টেস্ট ক্যারিয়ারে নিজের পঞ্চম সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ১৪৩ রানে অপরাজিত আছেন বাবর আজম। আসাদ শফিক অপরাজিত আছেন ৬০ রানে। এর আগে সেঞ্চুরি তুলে নেন ওপেনার শান মাসুদ। ঠিক ১০০ রান করেন তিনি। দুই সেঞ্চুরিয়ানকেই এদিন জীবন উপহার দিয়েছে বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। মাত্র ২ রানেই বাবরের ক্যাচ পড়ে। তাইজুল ইসলামের বলে মিড অফে ইবাদত হোসেন ক্যাচ ফেলেন। শান মাসুদকে জীবন দেওয়াটা তো ছিল হাস্যকর। তার ব্যাটে লেগে উইকেটরকের গ্লাভসে বল জমা পড়লেও কেউ বুঝতেই পারেননি! সে সময় ৮৬ রান নিয়ে ব্যাট করছিলেন মাসুদ। রুবেল হোসেনের করা বল তার ব্যাটের কানায় লেগে লিটন দাসের হাতে জমা পড়ে। কিন্তু লিটন বা বোলার-ফিল্ডাররা কেউ আবেদনও করেননি। বরং আপে করছিলেন বল ব্যাটের কানায় না লাগায়। চা বিরতির আগে সেই মাসুদ সেঞ্চুরি তুলে নেন। ১৫৭ বলে সেঞ্চুরি পূরণ করেন। এরপর অবশ্য খুব বেশিণ টেকেননি তিনি। তাইজুলের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান তিন বল পরই। ১১ চারে নিজের ইনিংস সাজান মাসুদ। ফেরার আগে শান মাসুদ দ্বিতীয় উইকেটে অধিনায়ক আজহার আলিকে নিয়ে ৯১ ও তৃতীয় উইকেটে বাবর আজমকে নিয়ে ১১২ রান যোগ করেন। শুরুতে আবিদ আলিকে হারালেও তাই দলটিকে সেভাবে কোনো চাপই অনুভব করতে হয়নি। আবিদকে শুরুতে ফিরিয়ে দেওয়া রাহিই আজহার আলিকে ফিরিয়ে দ্বিতীয়বার বাংলাদেশকে আনন্দের উপল এনে দেন। ৯৩ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে পাকিস্তানের। নাজমুল হোসেন শান্তকে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৫৯ বলে ৪ চারে ৩৪ রান করেন আজহার। এরপর শান মাসুদ ও বাবরের জুটিতে শক্ত ভিত গড়ে পাকিস্তান। চা বিরতির কিছু আগে মাসুদ ফেরার পর উইকেটে আসেন আসাদ শফিক। দিনের বাকিটা সময় বাবরের সঙ্গে যিনি বাংলাদেশের বোলারদের হতাশ করে গেছেন। দিনের শেষ সেশনে দুজন ৩২.৫ ওভারে ১৩৬ রান যোগ করেছেন। বাবর এখন পর্যন্ত ১৯২ বলের ইনিংসে ১৯টি চার ও ১ ছক্কা হাঁকিয়েছেন। আসাদ শফিক ১১১ বলে ৮ চারে নিজের ইনিংস সাজান। এখন পর্যন্ত ২ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সফল বোলার আবু জায়েদ রাহি। অন্য উইকেটটি নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। সবচেয়ে বেশি হাত ঘুরিয়েছেন এই দুজনই। তাইজুল ৩৪ ও রাহি ২০ ওভার বল করেছেন। সবচেয়ে ভালো ইকোনমিকও এই দুজনের। ইবাদত হোসেন, রুবেল হোসেন উইকেটের দেখা তো পাননিই, কেবল মুক্ত হাতে রান বিলিয়েছেন।

ভারতকে হারিয়ে সিরিজ নিউজিল্যান্ডের
স্পোর্টস ডেস্ক॥ এক পর্যায়ে সাত উইকেট হারিয়ে ফেললেও রবীন্দ্র জাদেজা ও নবদিপ সাইনির অষ্টম উইকেট জুটিতে ম্যাচ দারুণ জমিয়ে তুলে ভারত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পরাজয় এড়াতে পারেনি বিরাট কোহলির দল। টানা দুই জয়ে একম্যাচ হাতে রেখেই তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজটি নিজেদের করে নিল কিউই দল। নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে শনিবার ভারতকে ২২ রানে হারায় নিউজিল্যান্ড। জয়ের জন্য ১৭৪ রানের ল্েয ব্যাটিংয়ে নেমে ২৫১ রানে গুঁড়িয়ে যায় অতিথি দল। শুরুতেই খেই হারায় ভারত। দলীয় ৫৭ রানে উইকেট ছাড়া হন তিন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান দুই ওপেনার মায়াঙ্ক আগারওয়াল, পৃথ্বী শ ও তিনে নামা অধিনায়ক বিরাট কোহলি। এক পর্যায়ে দেড়শো রান পার হতেই সাত উইকেট হারিয়ে ফেলে ভারত। এমন অবস্থায় অষ্টম উইকেটে ৭৬ রানের কার্যকরী এক জুটি গড়ে আশার প্রদীপ জ্বেলে রাখেন জাদেজা ও নবদিপ। দলীয় ২২৯ রানে নবদিপ (৪৫) উইকেট ছাড়া হলে শেষ হয়ে যায় আশা। একা পেরে ওঠেননি জাদেজা (৫৫)। নিউজিল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে দুটি করে উইকেট নেন হামিশ বেনেট, টিম সাউথি, অভিষিক্ত কাইল জেমিয়েসন ও কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। এর আগে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৭৩ রান করে টসে হারা নিউজিল্যান্ড। সর্বোচ্চ ৭৯ রান করেন ওপেনার মার্টিন গাপটিল। সর্বোচ্চ ৭৩ রান করেন চারে নামা ব্রেন্ডন টেলর। অন্যদের মধ্যে হেনরি নিকোলস ৪১ ও টেইলএন্ডার কাইল জেমিয়েসন অপরাজিত ২৫ রান করেন। ভারতের বোলারদের মধ্যে যুজবেন্দ্র চাহাল তিনটি উইকেট নেন। দুটি উইকেট নেন শার্দুল ঠাকুর। অভিষেক ওয়ানডেতেই ম্যাচ সেরা হয়েছেন পেসার কাইল জেমিয়েসন। হ্যামিল্টনে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ভারতকে ৪ উইকেটে হারিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। দল দুটির তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে হবে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে, ১১ ফেব্রুয়ারি।