রফতানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার দাবি ভারতীয় পেঁয়াজচাষীদের

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ বিদায়ী বছরে ভারতে পেঁয়াজের দাম রেকর্ড বেড়ে যায়। অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল রাখতে রফতানির সঙ্গে পণ্যটির মজুদসীমা বেঁধে দেয় দেশটির সরকার। সম্প্রতি দেশটিতে নতুন মৌসুমের পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে। এতে দেশটির বাজারে সরবরাহ বেড়ে মসলাপণ্যটির দামে টানা মন্দা চলছে, যা চাষীদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ভারতীয় চাষী ও ব্যবসায়ীরা পণ্যটির অব্যাহত দরপতন রোধে রফতানি নিষেধাজ্ঞা ও মজুদসীমা অপসারণের দাবি জানিয়েছেন দেশটির সরকারের কাছে। খবর ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস ও ইকোনমিক টাইমস।
ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের নাসিক জেলায় অবস্থিত এশিয়া মাহাদেশের সবচয়ে বড় পাইকারি পেঁয়াজবাজার লাসালগাঁও। সরকার নিয়ন্ত্রিত বাজারটি পরিচালনা করে এগ্রিকালচার প্রডিউস মার্কেট কমিটি (এপিএমএ)। নতুন মৌসুমের পেঁয়াজ ওঠার পর থেকে বাজারটিতে পণ্যটির সরবরাহ প্রতিদিন বাড়ছে। ফলে কমছে দাম। লাসালগাঁও বাজার সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার পাইকারি বাজারটিতে মোট ১৮ হাজার কুইন্টাল (প্রতি কুইন্টালে ১০০ কেজি) পেঁয়াজ এসেছে। বাড়তি পেঁয়াজের চাপে পণ্যটির দাম কমে কুইন্টালপ্রতি গড়ে ২ হাজার ২৫০ রুপিতে নেমেছে। যেখানে ডিসেম্বরে বাজারটিতে প্রতি কুইন্টাল পেঁয়াজের গড় দাম ছিল ৮ হাজার ৬২৫ রুপি। কৃষিপণ্যটির দাম প্রত্যাশার তুলনায় দ্রুত হ্রাস পাওয়ায় দেশটির কৃষকদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে লাসালগাঁওয়ে সর্বশেষ সপ্তাহে আগের সপ্তাহের তুলনায় পেঁয়াজের দাম ৩৫ শতাংশ কমে যায়। এরপর ব্যবসায়ীরা দেশটির সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে একটি পত্র পাঠিয়েছিলেন। পত্রে তারা পণ্যটির অপ্রত্যাশিত দরপতন রোধে সরকারের কাছে একই ধরনের দাবি জানিয়েছিলেন।
গত বছর ভারি বৃষ্টিপাতে আগের ২৫ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে ভারত। বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যায় দেশটির ৩০ শতাংশের মতো পেঁয়াজ আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ওই সময় সরবরাহ সংকটের আশঙ্কায় পণ্যটির দাম বেড়ে ইতিহাসের সর্বোচ্চে পৌঁছে যায়। ফলে পণ্যটির বাজার নিয়ন্ত্রণে দেশটির সরকার নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এর জের ধরে গত অক্টোবরে পেয়াঁজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আনে ভারত।