ইভিএম নিয়ে কেন এত আলোচনা?

0

লোকসমাজ ডেস্ক ॥ রাত পোহালেই ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন। নানা আলোচনা, সংশয়। সবচেয়ে বেশি আলোচনা ইভিএম নিয়ে। বিরোধী বিএনপি নেতারাসহ অনেকেই অভিযোগ করছেন, ইভিএম দিয়ে কারচুপি করা হবে। কারচুপির মাধ্যমে হারিয়ে দেয়া হবে বিএনপি’র প্রার্থীদের। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক বলেন, এটি দিয়ে চাইলেই কারচুপি করার সুযোগ আছে। কয়েক ধাপে করা যাবে কারচুপি। যেমন, প্রতিকেন্দ্রে যদি একটি মেশিন প্রোগ্রাম করা সম্ভব হয় তবে নির্বাচন শেষে ঐ কেন্দ্রে ক্লোজ বাটন চাপ দিয়ে অটোমেটিক ২শ’ থেকে ৩শ’ ভোট পছন্দমতো প্রার্থীর মার্কায় দেয়া সম্ভব।
যার ফলে বদলে ফেলা সম্ভব নির্বাচনের ফলাফল। ইভিএম’র মাইক্রোকন্ট্রোলার প্রোগ্রাম পরিবর্তন করে নির্দিষ্ট সংখ্যক ভোটের পর সব ভোট এক প্রার্থীর মার্কায় দেয়া সম্ভব। যেমন, প্রোগ্রামে ‘ক’ প্রার্থীর ১শ’ ভোটের পর যা ভোট পরবে সব যাবে ‘খ’ প্রার্থীর মার্কায়, এভাবে সেট করা সম্ভব। তিনি আরো বলেন, ইভিএম চালু অবস্থায় এটি পৃথক করা সম্ভব। যার ফলে খুব সহজেই কন্ট্রোল ইউনিট প্রতিস্থাপন করা যায়। নির্বাচনী কর্মকর্তার স্মার্ট কার্ড নকল করে ইভিএম’এ নির্দিষ্ট সংখ্যক ভোট দেয়ার সুযোগ রয়েছে। ইভিএম’এ ব্যবহার করা হয় আরএফআইডি ট্যাগ। এই রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি দিয়ে কয়েকশ মিটার দুর থেকে কন্ট্রোল মিটারের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এছাড়াও তিনি বলেন, ইভিএমে ভোট গ্রহণের পর মেশিন পরিবর্তন করলেও বোঝা সম্ভব নয়।