বেনাপোলে ইমিগ্রেশন সিল জালিয়াতির অভিযোগে পাসপোর্ট যাত্রীসহ আটক ২

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরের বেনাপোলে ইমিগ্রেশন সিল জালিয়াতির অভিযোগে একজন পাসপোর্টযাত্রীসহ দুজন আটক হয়েছেন। অপর আটক ব্যক্তি সাংবাদিক পরিচয়দানকারী দালাল ও সিল জালিয়াতির হোতা। এই চক্রের অন্য সদস্যদের আটকের জন্য পুলিশ খুঁজছে। সোমবার দুপুরে যশোরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক প্রেস বিফ্রিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, আটক পাসপোর্ট যাত্রীর নাম জুনাইদ (২৩)। তিনি নরসিংদীর রায়পুর উপজেলার মমতাজ মিয়ার ছেলে। অপরদিকে সিল জালিয়াতির হোতা সাংবাদিক পরিচয়দানকারী ব্যক্তির নাম নজরুল ইসলাম। তার বাড়ি শার্শা উপজেলার ভবেরবেড় গ্রামে। তিনি বলেন, জুনাইদ দীর্ঘদিন ধরে দালালের মাধ্যমে দুবাই যাবার চেষ্টা করে আসছেন। গত ১৫ নভেম্বর তিনি দালালকে ৮০ হাজার টাকা দিয়ে টুরিস্ট ভিসায় ঢাকার হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের মাধ্যমে ভারত হয়ে দুবাই যাবার চেষ্টা করেন। কিন্তু ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তার পাসপোর্ট অফলোড (ব্লক) করে দেয়। ফলে তিনি যেতে পারেননি। এরপর তিনি ভারত হয়ে লিবিয়ায় যাওয়ার জন্য নরসিংদীর স্থানীয় দালাল কাওসার ও ঢাকার ফকিরাপুলের সুমনের মাধ্যমে পাসপোর্টে ভারতের ভিসা করেন। এ জন্য তিনি দালাল সুমনকে ৩৩ হাজার টাকা ও ৩শ’ ডলার দেন। এরপর গত ১৭ জানুয়ারি দালাল সুমন তাকে ঢাকা থেকে গ্রিনলাইন পরিবহনের একটি বাসে উঠিয়ে দেন বেনাপোলে যাওয়ার জন্য। সেখানে গিয়ে সাংবাদিক পরিচয়দানকারী নজরুল ইসলামের সাথে তাকে যোগাযোগ করতে বলা হয়। পরদিন ১৮ জানুয়ারি সকালে জুনাইদ বেনাপোলে এসে নজরুলের সাথে যোগাযোগ করেন। এরপর নজরুল তার কাছ থেকে পাসপোর্ট ও সাড়ে ৫শ’ টাকা নিয়ে ট্যাক্স টোকেন করিয়ে দেন। পরে তার কাছ থেকে আরো সাড়ে ১৪ হাজার টাকা নেয়া হয়। পুুলিশের ওই মুখপাত্র বলেন, নজরুল পাসপোর্টে বেনাপোল ইমিগ্রেশনের জাল বহির্গমন সিল মেরে জুনাইদকে অন্য পথে ভারতে পাঠানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু সেখানে কর্তব্যরত ইমিগ্রেশন পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় তারা জুনাইদকে আটক করে। পরে পরীক্ষা করে দেখা যায়, পাসপোর্টের অফলোড (ব্লক) সিল প্রত্যাহার করা হয়নি এবং ইমিগ্রেশন বহির্গমন সিল জাল। পরে জুনাইদের স্বীকারোক্তিতে আটক করা হয় নজরুলকে। এ ঘটনায় বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা হয়েছে।