আজ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৪ তম জন্মবার্ষিকী

0

আকরামুজ্জামান ॥ আজ ১৯ জানুয়ারি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা, স্বনির্ভর বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৪ তম জন্মবার্ষিকী। ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে কেমিস্ট্র মনসুর রহমানের ঔরসে জন্ম হয় এক নবজাতকের। এই শিশুটিই সময়ের পরিক্রমায় শিা, দিা, বুদ্ধিমত্তায়,দেশাত্বাবোধ, সততা, সাহসের গুণাবলীতে গুণান্বিত হয়ে পরিণত হন জনতার জিয়ায়।
জিয়াউর রহমান তার কর্মজীবন শুরু করেন একজন সৈনিক হিসেবে। সেনাবাহিনীর কঠোর, নিয়ম-শৃঙ্খলা, নিষ্ঠা ও পরিশ্রমের মধ্যেও জীবনের সকল েেত্র তিনি ছিলেন একজন সফল মানুষ। তার জীবনে বৈচিত্রময়, বর্ণাঢ্য এবং সাফল্যের সোনালী আলোয় উদ্ভাসিত। তার ব্যক্তি, কর্ম ও রাজনৈতিক জীবনে কোন বৈপরিত্য ছিলনা। নিদারুন ক্রান্তিলগ্নে হাল ধরে এ জাতিকে বেঁচে থাকার প্রেরণা জুগিয়েছেন। একটি স্বাধীন দেশের উপযোগী পৃথক জাতীয়তাবোধের জাগরন সৃষ্টি করে তিনি সমাজে একটি পার্থক্য নির্ণয় করেন। যা তাকে একজন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন অনন্য সাধারন নেতা হিসেবে বিশেষ পরিচিতি দান করে। ১৯৭১ সালে জাতি যখন স্বাধীনতার জন্য উন্মুখ, রাজনৈতিক নেতৃত্ব যখন দিকভ্রান্ত ঠিক তখনই জিয়াউর রহমান ২৬ মার্চ চট্রগ্রামের কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে ঐতিহাসিক স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। সেনাবাহিনীর একজন মেজর হিসেবে জিয়াউর রহমানের এই ঘোষণায় হতাশা ও দিকভ্রান্ত জাতির মধ্যে আশার সঞ্চার হয়। মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে মুক্তিকামী বীরজনতা। জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ সংগ্রামের পর অর্জিত হয় স্বাধীনতা। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার সম্মিলিত গণঅভুথ্যানের মাধ্যমে সিপাহী-জনতা জিয়াউর রহমানের হাতে তুলে দেন দেশের নেতৃত্ব। সেই ঘোর দুর্দিনে জাতি যখন উৎকন্ঠিত, উদ্বিগ্ন তখন সকলের মিলিত প্রয়াসে তিনি মুক্ত হন এবং দেশের হাল ধরেন। সেদিন সামরিক অভ্যুত্থান করে তিনি মতায় আসেননি- সময়ের প্রয়োজনে তাকে মতায় বসানো হয় সিপাহী জনতার এক রক্তপাতহীন বিপ্লবের মাধ্যমে।
জিয়াউর রহমান কখনও মতালোভী ছিলেন না। তিনি রাজনীতির সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জনের চেষ্টাকে মনে প্রানে ঘৃণা করতেন। তার ব্যক্তিগত চরিত্র মাধুর্য ছিলো সকলকে আকৃষ্ট করার মত। তিনি ছিলেন, নির্লোভ, নির্মোহ, দেশপ্রেমিক, নিষ্ঠাবান, পরিশ্রমী এবং স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপোসহীন। একারণেই তাকে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের স্থপতি বলা হয়। একদলীয় শাসনের নাগপাশ থেকে জাতিকে মুক্ত করে একটি বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রবর্তন করে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জাতির আত্মসম্মানকে সুউচ্চে তুলে ধরেন। বাস্তবমুখী এসব কর্মকান্ড সৃষ্টি করে নবজাগরনের মাধ্যমে অল্প সময়েই তিনি দেশের মানুষের মনের মনিকোঠায় স্থান পেয়ে যান। ১৯৮১ সালের ৩০ মে দেশি ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে নির্মমভাবে প্রাণ দিতে হয় দেশপ্রেমিক মহান নেতা জিয়াউর রহমানকে। সেনাবাহিনীর ভেতরকার কয়েকজন বিপথগামীর তপ্ত বুলেটে সেদিন বাংলাদেশর ভাগ্যকাশ থেকে চিরদিনের জন্য খঁসে পড়ে আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার, সপ্তদেশীয় শীর্ষ সংস্থা সার্কের স্বপ্ন জিয়াউর রহমান নামের এই নত্রটি। জাতি আজ নানা কর্মসুচির মধ্যে দিয়ে দিবসটি পালন করবে। যশোর জেলা বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়েছে নানা কর্মসূচি।