মনোনয়নপত্র জমা শেষ : মেয়র পদে প্রার্থী ১৪ কাউন্সিলর ১০২৫

0

লোকসমাজ ডেস্ক ॥ ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে উৎসবমুখর পরিবেশে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীরা। দুই সিটিতে মেয়র পদে ১৪ জন এবং ১৭২ পদের বিপরীতে সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন ১ হাজার ২৫ জন। এর মধ্যে ঢাকা উত্তরে মেয়র ৭ জন, কাউন্সিলর ৩৭৪ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর ৮৯ জনসহ ৪৭০ জন এবং দক্ষিণে মেয়র পদে ৭ জন, সাধারণ কাউন্সিলর ৪৬০ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর ১০২ জনসহ ৫৬৯ জন প্রার্থী হয়েছেন। মঙ্গলবার ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন।
এদিন আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটে ঢাকা উত্তর সিটির এবং গোপীবাগে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টারে ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচনের প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ সময় প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘন করে গাড়ির বহর নিয়েও মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেখা গেছে। তবে নীরব দর্শকের ভূমিকায় ছিলেন নির্বাচন কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। দুই সিটিতেই আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী রয়েছেন। পাশাপাশি কাউন্সিলর পদেও বড় দলগুলোর সমর্থিত প্রার্থী রয়েছেন। দুই সিটি নির্বাচনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি অংশ নেয়ায় উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। তবে কাউন্সিলর পদে নির্দলীয় প্রতীকে ভোট হলেও দল দুটি নির্দিষ্ট ব্যক্তি সমর্থন দেয়ায় প্রার্থী সংখ্যা কমে গেছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটির সংরক্ষিত ৮ নম্বর ওয়ার্ডে একজন নারী কাউন্সিরর প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছেন। অনেক ওয়ার্ডে ২ জন করে প্রার্থী রয়েছেন। আগামী ২ জানুয়ারি দুই সিটিতে মনোনয়নপত্র বাছাই এবং ৯ জানুয়ারি প্রত্যাহারের পর আরও কয়েকটি ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
মেয়র পদে যারা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন, তারা হলেন- ঢাকা উত্তর সিটিতে আওয়ামী লীগের মো. আতিকুল ইসলাম, বিএনপির তাবিথ আউয়াল, জাতীয় পার্টির জিএম কামরুল ইসলাম, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল-পিডিপির শাহীন খান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শেখ মো. মাসউদ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মো. আনিসুর রহমান এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির আহাম্মদ সাজেদুল হক। অপরদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, বিএনপির ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, জাতীয় পার্টির হাজী মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন মিলন, গণফ্রন্টের আবদুস সালাম সুজন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির বাহারানে সুলতান বাহার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আবদুর রহমান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের আখতারুজ্জামান ওরফে আয়াতুল্লাহ। দুই সিটিতেই দলীয় প্রার্থীর বাইরে মেয়র পদে কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেননি।
ঢাকা উত্তর সিটি : সরেজমিন দেখা যায়, মঙ্গলবার সকাল থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তার দফতরে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের উপচেপড়া ভিড়। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে পাঁচটি মনোনয়নপত্র জমা দেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আতিকুল ইসলাম। এ সময় তার সঙ্গে গাড়িবহরও ছিল। মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় তার সঙ্গে ছিলেন ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি বজলুল রহমান, সাধারণ সম্পাদক এমএ মান্নান কচি, বাফুফে সভাপতি শেখ সালাউদ্দিন, এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান মিয়া প্রমুখ। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর আতিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আসন্ন ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে। নির্বাচন হবে অংশগ্রহণমূলক। সেই নির্বাচনে আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হব। তিনি বলেন, আমি সবাইকে অনুরোধ করব যাতে এই নির্বাচনে সবাই অংশগ্রহণ করেন। নির্বাচনে হার-জিত আছেই। আমি অনেক নির্বাচন করেছি; কিন্তু কখনও মাঝপথে গিয়ে নির্বাচন বর্জন করেনি। আমি সবাইকে অনুরোধ করব, আপনারা নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত থাকবেন এবং ৩০ জানুয়ারি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা অবশ্যই জনগণের ভোটে নির্বাচিত হব। সন্ত্রাসী কারচুপিতে বিশ্বাস করি না। শত শত নেতাকর্মী নিয়ে শোডাউন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা কোন শোডাউন করিনি। এটি কাউন্সিলরদের সমর্থক।
বেলা ২টার দিকে তিনটি মনোনয়নপত্র জমা দেন বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আউয়াল। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ইকবাল মাহমুদ, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসান প্রমুখ। পরে তাবিথ আউয়াল বলেন, নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আমাদের আস্থা না থাকলেও নিজের দল ও জনগণের প্রতি আস্থা রেখে আমরা এই নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। এর মাধ্যমে আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে চাই। বিগত দিনের বিতর্কিত নির্বাচনে আগের রাতে ভোটগ্রহণ হওয়ার কারণে আসন্ন সিটি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় কি না, আমরা সন্দিহান। ইভিএম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কমিশনে আমরা বলেছি, অতীতে একটি বিতর্কিত নির্বাচন হয়েছে। সেই বিতর্ক আর না বাড়িয়ে আগামী সিটি নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার বন্ধ রাখা হোক।
কারণ ইভিএম নিয়ে অনেক বিতর্কের সুযোগ আছে। অনেক অপরিষ্কার জায়গা আছে। ইভিএম ক্রয়, প্রযুক্তি ও ব্যবহার নিয়েও আমাদের অনেক প্রশ্ন রয়েছে। এ নিয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনেও সংলাপ করব, কথা বলব। এরপর জাতীয় পার্টির প্রার্থী জিএম কামরুল ইসলাম দলের ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম ও মোস্তফা আল মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দীন, যুগ্ম প্রচার সম্পাদক শাহাদাত কবির চৌধুরীসহ কয়েকজন নেতাকে নিয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। পরে কামরুল ইসলাম বলেন, সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচন চাই যাতে সব ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। আমি নির্বাচিত হলে প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করব। এদিন অন্য প্রার্থীরাও মনোনয়নপত্র জমা দেন। নির্বাচন প্রসঙ্গে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবুল কাশেম বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, প্রত্যেকে আচরণবিধি মেনে চলেছেন। সবাই যেন আচরণবিধি মেনে চলেন, এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছি। কেউ যাতে কোনোভাবে রাস্তা বন্ধ করে জনসভা করতে না পারে, এ বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া আছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে কমিশন বদ্ধপরিকর। নির্বাচন কমিশন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছে। ভোটে সবার জন্য সমান ফিল্ড থাকবে। ভোট উৎসবমুখর হবে। ভোট-উৎসব যেন সংঘর্ষে রূপ না নেয়, সেদিকে নজর রাখবেন বলেও জানান তিনি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি : আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এবং বিএনপি’র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় রিটার্নিং কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। তবে রিটার্নিং কার্যালয়ের ভেতরে সব নিয়ম মেনে প্রবেশ করেন। এ বিষয়ে দুই দলের মেয়র প্রার্থী বলেছেন, তারা নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে রিটার্নিং কার্যালয় এসেছেন। তবে রিটার্নিং কার্যালয়ের সামনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসা বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী এবং আশপাশের বাসিন্দারা জড়ো হওয়ায় লোক সমাগম দেখা গেছে। এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের রিটার্নিং অফিসার মো. আবদুল বাতেন সাংবাদিকদের বলেন, একইদিনে মেয়র-কাউন্সিলর প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার দিন হওয়ায় হেভিওয়েট প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে এলে কাউন্সিলর প্রার্থী এবং তার কারণে তখন লোক সমাগম বেশি দেখা গেছে। আজকে (মঙ্গলবার) সারাদিনই মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মনোনয়নপত্র দাখিলের পর ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস নগরবাসীর সেবক হিসেবে কাজ করার অঙ্গীকার করেন। তিনি বলেন, আশা করি আগামী বছর ঢাকাবাসীর জন্য একটি নবসূচনা করতে পারব। আমাদের অনেক করণীয় রয়েছে। আমরা প্রথমত দীর্ঘদিন ঢাকাবাসী যে বঞ্চিত অবহেলিত নাগরিক সুবিধা থেকে। সেটাকে আমরা মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে গ্রহণ করব। যদি ঢাকাবাসী আমাকে নির্বাচনে জয়ী করেন, সেবা করার সুযোগ দেন। ঢাকাবাসীর মৌলিক নাগরিক সুবিধাগুলো নিশ্চিত করাই আমরা প্রধান কাজ হবে। বর্তমান মেয়রকে আপনার পাশে দেখতে পাচ্ছি না সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তাপস বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি বৃহত্তম সংগঠন, কেউ এর বাইরে নয়, সবাইকে নিয়েই আমরা কাজ করব। আচরণবিধি লঙ্ঘন প্রসঙ্গে তাপস বলেন, বিভিন্ন কাউন্সিলর ও মেয়রসহ সবাইকে একই সময়ে জমা দেয়ার (মনোনয়নপত্র) সুযোগ দেয়া হয়েছে। এ কারণে হয়তো বা কিছু মানুষের সমাগম হয়েছে। আমরা কিন্তু আচরণবিধি মেনেই আমাদের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে উপস্থিত হয়েছি। আমরা সব সময় চেষ্টা করব নির্বাচন যেন সুষ্ঠু এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়। আমি আশা করব ঢাকাবাসী যেন স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই নির্বাচনে ভোট দেয়। এ সময় শেখ ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য- আবদুর রহমান ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সম্পাদক- মাহবুব উল আলম হানিফ ও বাহাউদ্দিন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমদ মান্নাফী, সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবিরসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন মনোনয়নপত্র দাখিলের পর বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে এটি দ্বিতীয় সুযোগ। নির্বাচন কেমন হয়েছে তা ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে সবাই দেখেছে। তারপরও একজন প্রার্থী হিসেবে তাদের কাছে কি ধরনের আস্থা থাকতে পারে এ প্রশ্ন আমি জাতির কাছে রাখতে চাই। যেহেতু আরও একটা সুযোগ এসেছে তাদের ভুল সংশোধনের। আমি চাইব তারা সেটা করবেন।’ নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থা আছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার বেলা পৌনে তিনটায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি। ইশরাক হোসেন বলেন, ‘এই নির্বাচনকে ঘিরে ঢাকাবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। বর্তমানে একটা ক্রান্তিকাল চলছে। কোনো গণতন্ত্র নেই, ভোটের অধিকার নেই। এজন্য সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সবাইকে নিয়ে আমরা এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করব। নির্বাচনে আমাদের বিজয় নিশ্চিত।’ নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে কথা বলার সময় এখনও আসেনি। আরও কিছুদিন পার হলে বলা যাবে। তখন আপনারাও দেখতে পাবেন।’ দেশে আজ উন্নয়নের ধুয়া তোলা হয়েছে কিন্তু কোনো উন্নয়ন হয়নি মন্তব্য করে এ মেয়র প্রার্থী বলেন, ‘উন্নয়নের নামে বিদেশে টাকা পাচার করা হয়েছে। আমরা উচ্চশিক্ষিত, আমরা জানি কীভাবে উন্নয়ন করতে হয়। বিশ্বের সবচেয়ে নামিদামি বিশেষজ্ঞ এনে ঢাকাকে উন্নত করা কোনো ব্যাপারই ছিল না। গত ১২ বছরে উন্নয়নের নামে যে পরিমাণ অর্থ পাচার করা হয়েছে সে অর্থ যদি বাংলাদেশের ইকোনমিতে থাকত তাহলে শুধু ঢাকা নয়, আরও পাঁচটি মহানগরকে উন্নত শহরে রূপ দেয়া যেত।