প্রতিদিন দু’জন বাংলাদেশি মারা যান মালয়েশিয়ায়

0

লোকসমাজ ডেস্ক ॥ মালয়েশিয়ায় প্রতিদিন দু’জন বাংলাদেশি শ্রমিক মারা যান। ২০১৬ সাল থেকে মালয়েশিয়ায় অভিবাসন আটক কেন্দ্রে মোট ১৫১ জন বিদেশি শ্রমিক মারা গেছেন। এ খবর দিয়েছে, সিঙ্গাপুরের দি ইন্ডিপেনডেন্ট। পত্রিকাটির সাংবাদিক ভেরোনিকা করদোভা গতকাল প্রকাশিত খবরে লিখেছেন কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক বলেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় ৩৯৩ বাংলাদেশি শ্রমিক মারা গেছেন। বেশির ভাগের বয়স ১৮ থেকে ৩২ বছর। মৃত্যুর সনদপত্রগুলোতে মৃত্যুর প্রধান কারণ ছিল স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাক। ৩০শে ডিসেম্বর মালয়েশীয় সংসদে এক প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের লিখিত জবাব অনুসারে চলতি বছরের ২৩শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১৫১। পেটালিং জয়া এলাকা থেকে নির্বাচিত এমপি মারিয়া চিন আবদুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘হাসপাতাল কর্তৃক চিহ্নিত মৃত্যুর কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে ফুসফুস সংক্রমণ, হার্টের জটিলতা, ডায়াবেটিস, শ্বাসকষ্ট এবং অন্যান্য।’ আটককৃতদের মধ্যে বেশি সংখ্যক লোকের মৃত্যুর কারণ কী তা মন্ত্রণালয় আরো বিস্তারিত জানাতে পারেনি। সংসদ আরো জানতে পেরেছিল যে, গত বছর এসব কেন্দ্রে ১৮ বছরের কম বয়সী ১৭৬৩ শিশুকে আটক করা হয়েছিল। এই বছর জানুয়ারি থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত শিশু অন্তরীণের সংখ্যাটি ১৯৪৭ ছিল। মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মীদের নিয়মিত স্রোত রয়েছে, তাদের মধ্যে অনেকেই বেআইনিভাবে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে প্রবেশ করেন।
গত সেপ্টেম্বরে একটি প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছিল যে, গত ছয় বছরে বাংলাদেশি শ্রমিকদের মৃত্যুর সংখ্যা দ্বিগুন হয়েছিল। ২০১৮ সাল পর্যন্ত হিসেবে মালয়েশিয়াকিনি নামের সংস্থাটির প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিদিন গড়ে দুই জন বাংলাদেশি শ্রমিক মারা যান। সিঙ্গাপুরের দি ইন্ডিপেন্ডেট জানায়, আরো একটি বড় উদঘাটন ২০১৫ সালে দেশকে হতবাক করেছিল। সে বছর মে মাসে মালয়েশিয়ার পুলিশ জানিয়েছিল যে, তারা থাইল্যান্ডের সাথে দেশের উত্তরের সীমানা থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে ২৮টি সন্দেহভাজন মানব পাচার শিবিরের সন্ধান পেয়েছে। সীমান্তে একাধিক গণকবর এবং সন্দেহভাজন মানব পাচার শিবিরের রিপোর্টের পরে এই আবিষ্কার করা হয়। তৎকালীন জাতীয় পুলিশ প্রধান জনাব খালিদ আবু বকর সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আমরা বিশ্বাস করি যে ১৩৯ টি কবর আবিষ্কার করেছিলাম।