থার্টি ফার্স্টের রাতে ইনডোর অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রেও পুলিশের অনুমতি লাগবে

0

লোকসমাজ ডেস্ক ॥ ইংরেজি নববর্ষ (২০২০) উপলক্ষে থার্টি ফার্স্ট (৩১ ডিসেম্বর) রাতে ইনডোর অনুষ্ঠানকে উৎসাহিত করা হলেও সেক্ষেত্রে পুলিশকে অবহিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় ডিএমপি’র মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত নিরাপত্তা বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘নিরাপত্তাজনিত কারণেই মূলত উন্মুক্ত স্থানে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। কারণ, উন্মুক্ত স্থানে নিরাপত্তা বিধান করা একটু কঠিনই। এক্ষেত্রে ইনডোর অনুষ্ঠানে উৎসাহিত করা হচ্ছে। তবে ইনডোরের ক্ষেত্রেও পুলিশকে অবহিত করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘নববর্ষ উদযাপনকালে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির যেকোনও ধরনের আশঙ্কা রোধে ঢাকা মহানগরীতে নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার স্বার্থে রাস্তার মোড়, ফ্লাইওভার, রাস্তায়, ভবনের ছাদে এবং প্রকাশ্যে স্থানে কোনও ধরনের জমায়েত, সমাবেশ, উৎসব করা যাবে না। এছাড়া, কোথাও কোনও ধরনের আতশবাজি-পটকা ফোটানো যাবে না।’ তিনি বলেন,‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সন্ধ্যা ছয়টার পর স্টিকার ও পরিচয়পত্র ছাড়া বহিরাগত কোনও ব্যক্তি বা যানবাহন প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের গাড়ি নির্ধারিত সময়ের পর পরিচয় দিয়ে নীলক্ষেত এবং শাহবাগ ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে।’
পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সন্ধ্যা ছয়টার পর ঢাকা মহানগরীর সব বার বন্ধ থাকবে। মাদকসেবনের বৈধতা ছাড়া কাউকে যেন পাঁচ তারকা হোটেলে অ্যালাউ না করা হয়, সেজন্য পুলিশের পক্ষ থেকে হোটেল কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’ একইসঙ্গে মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ছয়টা থেকে ১ জানুয়ারি ভোর ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ জনসমাবেশ ও উৎসবস্থলে সব ধরনের লাইসেন্স করা আগ্নেয়াস্ত্রও বহন করা যাবে না।’ তিনি বলেন, ‘এবার মাদক সেবন করে কেউ বেপরোয়া যানবাহন চালালে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ডিএমপি। পাশাপাশি অ্যালকোহল টেস্টের জন্য গুলশান বনানী ও হাতিরঝিলসহ একাধিক এলাকায় কিটসহ পুলিশের বিশেষ টিম কাজ করবে।’ সুষ্ঠু বিনোদনের জন্য উন্মুক্ত স্থানে কোনও অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে অনুমতি কেন দেবে না পুলিশ— তা জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘নিরাপত্তাজনিত কারণেই মূলত উন্মুক্ত স্থানে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। কারণ, উন্মুক্ত স্থানে নিরাপত্তা বিধান করা একটু কঠিনই। এক্ষেত্রে ইনডোরে অনুষ্ঠানে উৎসাহিত করা হলেও, ইনডোরের ক্ষেত্রেও পুলিশকে অবহিত করতে হবে।’
এছাড়া, গুলশান এলাকায় প্রবেশের জন্য কাকলি ক্রসিং এবং আমতলী ক্রসিং ব্যবহার করা যাবে। তবে নির্ধারিত সময়ের পর পরিচয় দিয়ে এ দুটি ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। একইভাবে সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে গুলশান, বনানী, বারিধারা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় যেসব নাগরিক বসবাস করেন না, তাদের ওইসব এলাকায় গমনের ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে বলে জানা তিনি। পুলিশ কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এবার রাত আটটার পর হাতিরঝিল এলাকায় কাউকে অবস্থান করতে দেওয়া হবে না। গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় বসবাসরত নাগরিকদের ৩১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাত আটটার মধ্যে স্ব স্ব এলাকায় প্রত্যাবর্তনের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।’