চুয়াডাঙ্গায় তীব্র শীতে ছিন্নমূল ও নিম্নআয়ের মানুষের চরম ভোগান্তি

0

রিফাত রহমান, চুয়াডাঙ্গা ॥ ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা হ্রাস পেয়েছে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দুই দিন গুড়িগুড়ি বৃষ্টির পর তীব্র শীত জেঁকে বসেছে। ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষ বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে। শনিবার চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক তহমিনা নাছরিন জানান, গত ১৮ ডিসেম্বর ১১ দশমিক ৯ ডিগ্রি, ১৯ ডিসেম্বর ৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি, ২০ ডিসেম্বর ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি, ২১ ডিসেম্বর ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি, ২২ ডিসেম্বর ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি, ২৩ ডিসেম্বর ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি, ২৪ ডিসেম্বর ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি, ২৫ ডিসেম্বর ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি, ২৬ ডিসেম্বর ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ২৭ ডিসেম্বর ১৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। আরও কয়েকদিন হিমেল হাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতের তীব্রতা থাকতে পারে বলে তিনি জানান। চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে সকাল থেকে প্রতিদিনই হিমেল হাওয়া প্রবাহিত হচ্ছে। সেই সঙ্গে থাকছে কুয়াশার আধিপত্য। গুড়িগুড়ি বৃষ্টির কারণে শীতের তীব্রতা বাড়লেও তাপমাত্রা কয়েক ডিগ্রি বেড়ে যায়। বৃষ্টির কারণে হাঁড়কাঁপানো শীত অনুভূত হয়। বৃষ্টি ও মেঘাচ্ছন্ন আকাশ পরিষ্কার হওয়ার পর শীতের তীব্রতা শনিবার ভোর থেকে বাড়তে শুরু করেছে। একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা হ্রাস পেয়েছে ৫ ডিগ্রি। শুক্রবার চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার সর্বনিম্ন তাপামাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জেলার উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়ার কারণে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা.এ এস এম মারুফ হাসান বলেন, শীতের তীব্রতা থাকলেও চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট, ব্রঙ্কাইটিস রোগীর সংখ্যা স্বাভাবিক রয়েছে। প্রতিদিনের মত যে রকম রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয় সে রকমই রোগী চিকিৎসা নিতে আসছে। তাদের চিকিৎসা সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে কোন অসুবিধা হচ্ছে না। তিনি বলেন, গত ২৪ ডিসেম্বর ১৬ জন, ২৫ ডিসেম্বর ২৬ জন, ২৬ ডিসেম্বর ২৫ জন ও ২৭ ডিসেম্বর ১৮ জন ২৮ ডিসেম্বর ৪ জন রোগী শীতজনিত রোগের চিকিৎসা নিয়েছে। শীতের তীব্রতার কারণে ছিন্নমূল ও সাধারণ মানুষকে বেশি ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। সাধারণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন নিবারণের চেষ্টা করছে। অনেকে পুরাতন কাপড়ের দোকানে ভিড় করছে। মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। আর সন্ধ্যার পর মানুষ ঘরের বাইরে কম আসছে।