বেনাপোলে উদ্ধার নবজাতককে দত্তক নিলেন বাঘারপাড়ার নিঃসন্তান দম্পতি

0

মনিরুল ইসলাম মনি, শার্শা(যশোর) ॥ বেনাপোলের গাজীপুর নামাজ গ্রামের পাশে ইছামতি নদীর পাড়ের একটি বাঁশ বাগানে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার নবজাতকের দত্তক নিলেন বাঘারপাড়া উপজেলার নিঃসন্তান দম্পত্তি শিপন ও সুমাইয়া।

মঙ্গলবার ১২জন নিঃসন্তান দম্পত্তি তাকে নেওয়ার জন্যে আবেদন করেন। শার্শা উপজেলা প্রশাসনের সভাকক্ষে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি নবজাতক শিশুটিকে নেওয়ার জন্যে আবেদনকারীদের সাক্ষাতকার গ্রহণ করে। এরপর শার্শা উপজেলা প্রশাসন শিপন ও সুমাইয়া নামে দম্পত্তির হাতে শিশুটিকে হস্তান্তর করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা কৃষি অফিসার দিপক কুমার সাহা, সমাজসেবা অফিসার তৌহিদুল ইসলাম, বিআরডিপি অফিসার সাকির হোসেন, নারী ও শিশু বিষয়ক অফিসার জাহান ই গুলশান ও শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল আলিম, যশোর জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মোর্শেদ, দৈনিক লোকসমাজের শার্শা উপজেলা প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম মনি, সাংবাদিক সৈয়দ আতিকুজ্জামান রিমু মো. শাহাবউদ্দিন, ইকরামুজ্জামান প্রমুখ।

শার্শা উপজেলা সমাজসেবা অফিসার তৌহিদুল ইসলাম জানান, গত ১২ নভেম্ব বুধবার বেনাপোল গাজীপুরের পশ্চিমপাড়ার আলী হোসেন কালু ও তার স্ত্রী নার্গিস বেগম ইছামতি নদীর পাড়ে বাঁশবাগানে একটি ছেলে নবজাতক শিশু দেখতে পান। এ সময় তারা শিশুটিকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান। এরপর স্থানীয়রা বিষয়টি বেনাপোল পৌরসভার প্রশাসক শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডাক্তার কাজী নাজিব হাসানকে অবহিত করেন। নির্বাহী অফিসার ডা. কাজী নাজিব হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

শার্শা উপজেলা নারী ও শিশু বিষয়ক অফিসার জাহান ই গুলশান জানান, শিশুটির ভবিষ্যতের জন্যে শার্শা উপজেলা প্রশাসন ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে। এরপর স্থানীয় পত্রিকায় উদ্ধারকৃত শিশুটিকে দত্তক নেওয়ার জন্যে আগ্রহী নিঃসন্তান ব্যক্তিদের আবেদন করতে বলা হয়।

তিনি জানান, ১২ জন দম্পত্তি শিশুটিকে নেওয়ার জন্যে আবেদন করেন। যাচাই -বাছাই করে ১৮ নভেম্বর মঙ্গলবার যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার গাইদঘাট গ্রামের শিপন ও সুমাইয়া দম্পত্তির কাছে শিশুটিকে হস্তান্তর করা হয়।

মিশুটির দত্তক শিপন ও সুমাইয়া জানান, তাদের ১৫ বছর বিয়ে হয়েছে। আজও কোন সন্তান হয়নি। এজন্যে পত্রিকায় খবর দেখে ছেলে শিশুটি নেওয়ার জন্যে আবেদন করেন। তারা শিশুটিকে পেয়ে খুব খুশি।