চৌগাছায় প্রবাসী স্বামীর ওপর অভিমান করে আত্মহত্যা

0

স্টাফ রিপোর্টার, চৌগাছা (যশোর) ॥ যশোরের চৌগাছায় প্রবাসী স্বামীর ওপর অভিমান করে দুই সন্তানের জননী তানিয়া খাতুন (২৮) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। রোববার রাত আটটার দিকে উপজেলার পাশাপোল ইউনিয়নের হাউলী গ্রামে পিতার বাড়িতে তিনি আত্মহত্যা করেন।

তানিয়া হাউলী গ্রামের মতিয়ার রহমানের মেয়ে। সোমবার সকাল ১১ টায় তার নামাজে জানাজা শেষে পারিবারক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

মৃতের স্বজন ও থানা সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দশ বছর আগে তানিয়া খাতুনের বিয়ে হয় পাশের বড়গোবিন্দপুর গ্রামের আশরাফ মোড়লের ছেলে আলী হোসেনের সাথে। দাম্পত্য জীবনে তিনি শাহারা খাতুন (৯) ও মাইমুনা খাতুন (দেড় বছর) নামে দুই মেয়ে সন্তানের জননী।

প্রায় এক বছর হলো স্বামী আলী হোসেন সৌদি আরবে গেছেন। সম্প্রতি তানিয়া খাতুন স্বামীর সাথে মোবাইল ফোনে সামান্য একটি ঘটনা নিয়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। এরপর তিনি দুই মেয়েকে নিয়ে চলে আসেন পিত্রালয়ে। রোববার রাত সাড়ে ৭ টার পর পিত্রালয়ের সব সদস্যের চোখ ফাঁকি দিয়ে টিনের ঘরের আড়ার সাথে গলায় রশি পেচিয়ে আত্মহত্যা করেন।

তানিয়ার পিতা মতিয়ার রহমান বলেন, প্রায় দশ বছর হলো আমি মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। তাদের সংসারজীবন ভালোই ছিলো। অভাবের সংসারে কিছুটা স্বচ্ছলতা আনতে জামাই গেছেন সৌদি আরবে। সেখান থেকে মেয়ের সাথে কী হয়েছে আমি বুঝে উঠতে পারিনি। রোববার রাতে তানিয়া আমাদের সবাইকে ফাঁকি চলে গেছে না ফেরার দেশে। তার দুই মাসুম বাচ্চাকে সে এতিম করে চলে গেল। আমি আমার নানুদের কান্না সহ্য করতে পারছিনা।

প্রতিবেশী আবদুল জলিল বলেন, তানিয়া খুব ভালো মেয়ে ছিলো। তাদের সংসার জীবনও সুখের ছিল। কিন্তু কেন, কী কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলো তা আমরা জানিনা। তবে শুনেছি প্রবাসী স্বামীর সাথে মোবাইল ফোনে রহস্য করে কথা বলতে বলতে তারা বিবাদে জাড়িয়ে পড়েন।

এদিকে দেড় বছরের শিশু মাইমুনা খাতুন কিছুই বুঝতে পারেনি। সে মৃত মায়ের বুকের ওপর শুয়ে পড়ছে মাকে আদর করেছে। আর বড় মেয়ে শাহারা খাতুনের বুকফাটা আর্তনাদে স্বজন -প্রতিবেশীসহ আগত কেউ চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি।

চৌগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পরিবারের কারো কোন অভিযোগ না থাকায় মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।