প্রাথমিকে বইয়ের সংকট হবে না যশোরে; পালবাড়ী-মণিহার সড়ক সংস্কারে অনুমোদন

মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা

0

বিশেষ প্রতিবেদক ॥ যশোর জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় জানানো হয়েছে নতুন বছরের জন্য প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের ৭১ শতাংশ বই পাওয়া গেছে। বই সংকট থাকবে না। অপরদিকে পালবাড়ী থেকে মণিহার পর্যন্ত সড়ক সংস্কারের অনুমোদন পেয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

তবে রোববারের সভাটি একপর্যায়ে হয়ে ওঠে সভার সভাপতি জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলামসহ জেলার চার শীর্ষ কর্মকর্তার বিদায়ী সভা।

সভায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর জানায়, ২০২৬ সালের ১ম থেকে ৫ম শ্রেণির জন্য এ পর্যন্ত ৯ লাখ ১৭ হাজার ৭৭৬টি বই পাওয়া গেছে, যা মোট চাহিদার ৭১ শতাংশের বেশি। ফলে নতুন বছরে বইয়ের সংকট হবে না। প্রাক-প্রাথমিকের জন্যও ৫০ হাজার ৯৩৬টি বই পাওয়া গেছে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পালবাড়ী থেকে মনিহার পর্যন্ত সড়ক সংস্কারের অনুমোদন পাওয়া গেছে। পাশাপাশি খুলনা-যশোর মহাসড়কের আরও ৬ কিলোমিটার রাস্তা কংক্রিট করার অনুমোদনও মিলেছে। বিভিন্ন দপ্তর নিজেদের অগ্রগতি তুলে ধরলেও অধিকাংশ বক্তব্যেই বিদায়ী জেলা প্রশাসকের কর্মকাণ্ড ও অবদানের প্রশংসা উঠে আসে।

সভায় জেলা প্রশাসক বলেন, যেখানেই কাজ করুন না কেন, কাজের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণের ভালোবাসা অর্জন করতে না পারলে তার কোনো মূল্য থাকে না। সরকারি চাকরির সুবাদে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে বদলি হবেই এবং স্বাভাবিক নিয়মে একদিন কর্মজীবনও শেষ হবে। তবে দিন শেষে সততা ও আন্তরিকতা দিয়ে কাজ করে কর্মস্থলের মানুষের ভালোবাসা অর্জন করাটাই হওয়া উচিত প্রধান লক্ষ্য। না হলে সবকিছুই অর্থহীন মনে হবে, নিজের কাছেও অপরাধবোধ জাগবে।

একই সভায় গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহিদুল ইসলাম, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আসলাম হোসেন এবং ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ডিডি (অগ্নিনির্বাপন) মানিকুজ্জামানের বদলি ও পদোন্নতি জনিত বিদায় আয়োজনও হয়। এ সময় চারজনকেই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট, ফুলের তোড়া ও উপহার প্রদান করা হয়। গত বৃহস্পতিবার তাদের বদলিজনিত বিজ্ঞপ্তি প্রচারিত হয়।

সভায় বিভিন্ন দপ্তরের পক্ষ থেকে নিয়মিত কর্মপরিকল্পনা ও অগ্রগতির প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। বক্তারা জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা উলেখ করে তার নেতৃত্ব, আন্তরিকতা ও কর্মনিষ্ঠার প্রশংসা করেন। কয়েকটি দপ্তর গত এক মাসের কাজের অগ্রগতিও তুলে ধরে।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার রওনক জাহান, সিভিল সার্জন ডা. মাসুদ রানা, সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হোসাইন শাফায়েত, পৌর প্রশাসক ও ডিডিএলজি রফিকুল হাসান, জেলা পরিষদের সিইও এস. এম. শাহীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সুজন সরকার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আশরাফুল হক, প্রেসক্লাব সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুনসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা।