নাকফুল আংটি ও বদনা ফিরে পেলেন শ্রাবণী, ২ জন বরখাস্ত

0

চিতলমারী (বাগেরহাট) সংবাদদাতা ॥ বাগেরহাটের চিতলমারীতে গৃহবধূ শ্রাবণী হীরার বদনা, নাকফুল ও আংটি ফেরেত দিয়েছেন ডাম এনজিও’র কর্মকর্তারা। শখের বদনা, নাকফুল ও আংটি ফিরে পেয়ে ওই গৃহবধূ খুশি। এ ঘটনায় ডাম ফাউন্ডেশন ফর ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট (ডিএফইডি) কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট শাখার ম্যানেজার বাসুদেব দেবনাথ ও মাঠকর্মী নেওয়াজ শরীফকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন।

ডিএফইডির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত টিম গঠন করে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

মঙ্গলবার বিকেলে গৃহবধূ শ্রাবণী হীরা বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে গুরুত্বের সাথে খবর প্রকাশের পর সকাল ১০ টার দিকে ডাম এনজিও’র কয়েকজন কর্মকর্তা আমার বাড়িতে ছুটে আসেন। স্যাররা আমার শিশু কন্যাসহ আমাদের সার্বিক খোঁজ-খবর নেন। সবকিছু শুনে স্যাররা আমাকে অফিসে নিয়ে আমার শখের দুটি বদনা, নাকফুল ও আংটি ও ফাঁকা স্ট্যাম্প দুটি ফেরত দিয়েছেন। আমি স্যারদের ব্যবহারে খুশি ও সাংবাদিকদের কাছে কৃতজ্ঞ।

ডাম ফাউন্ডেশন ফর ইকোনমিক ডেভেলপমেন্টের নরসিংদী জোনাল ম্যানেজার তৌহিদুল ইসলাম বলেন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে আমি ও বরিশালের জোনাল ম্যানেজার মহসিন হোসাইন ও বাগেরহাটের এরিয়া ম্যানেজার কবির হোসেন গৃহবধূ শ্রাবণী হীরার বাড়িতে যাই। ওই গৃহবধূর বদনা, নাকফুল ও আংটি ফেরত দেওয়া হয়েছে। শ্রাবণী তার সুবিধামত খেলাপী ঋণ পরিশোধ করবেন।

এ ঘটনায় কর্তৃপক্ষ চিতলমারী শাখার ম্যানেজার বাসুদেব দেবনাথ ও মাঠকর্মী নেওয়াজ শরীফকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার সাহিদুল কবীর ডাম এনজিও’র সহকারী ব্যবস্থাপক(নিরীক্ষা) মনিরুল ইসলামকে প্রধান ও নারায়নগঞ্জের জোনালা ম্যানেজার মুহাম্মদ খায়রুল ইসলাম ও এমআইএস’র কোঅডিনেটর আব্দুর রাজ্জাককে সদস্য করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। তদন্ত কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

তৌহিদুল ইসলাম আরও জানান, কোনো জোর প্রয়োগ ছাড়াই গৃহবধূ শ্রাবণী হীরা অভাবের জন্যে স্বেচ্ছায় কিস্তির টাকার পরিবর্তে বদনা, নাকফুল ও হাতের আংটি দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার বিকেলে ৯ হাজার ৫০০ টাকা জমা দিয়ে ওই মালামাল ফেরত নিয়েছেন।

গত ২৯ অক্টোবর সকালে ডাম ফাউন্ডেশন ফর ইকোনমিক ডেভেলপমেন্টর কর্মীরা তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। পরে এনজিও কর্মী ও কর্মকর্তারা ফিল্ড থেকে ফিরে বিকেলে শ্রাবণী হীরাকে দিয়ে ২টি ফাঁকা স্ট্যাম্পে সই করিয়ে হাতের আংটি, নাকফুল ও পিতলের বদনা নিয়ে নেন।