যশোরে ইসলামিক স্ট্যাডিজ ফোরামের মানববন্ধন

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং সকল পেশার ক্ষেত্রে ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবিতে বৃহস্পতিবার প্রেস ক্লাব যশোরের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে বাংলাদেশ ইসলামিক স্ট্যাডিজ ফোরাম, যশোর জেলা শাখা।

ফোরামের জয়েন্ট কনভেনার মারুফুর রহমান শেখের উপস্থিতিতে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দেশের সব স্তরের শিক্ষা ব্যবস্থায় ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করা এখন সময়ের দাবি। দেশের মানুষ নৈতিকতা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। সমাজে ধর্ষণ, খুন, সন্ত্রাস, মাদকাসক্তিসহ নানা অপরাধ বাড়ছে। এর কারণ হচ্ছে, শিক্ষাব্যবস্থায় নৈতিকতার অভাব। তারা বলেন, বর্তমান সমাজকে অবক্ষয় থেকে রক্ষা করতে হলে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সকল স্তরে ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা জরুরি।

মানববন্ধনে বক্তারা প্রধান দাবিগুলো তুলে ধরেন। এসব দাবির মধ্যে রয়েছে, প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয় এবং উচ্চশিক্ষার প্রতিটি স্তরে ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা,ব্যবসায়, মেডিকেল ও প্রকৌশল বিষয়ক সকল কোর্স ও ডিসিপ্লিনে ১০০ নম্বরের একটি বিষয় হিসেবে ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করা।

এছাড়া দেশের সকল স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামিক স্ট্যাডিজ বিষয় ও বিভাগ চালু করা। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও পৃথকভাবে ১০০ নম্বরের ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা। প্রশিক্ষণে সংযোজন: প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রশিক্ষণ, ইন-সার্ভিস প্রশিক্ষণ এবং সামরিক, নৌ, বিমান ও পুলিশ বাহিনীর সকল প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ১০০ নম্বরের ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা প্রবর্তন করা। মক্তবে আরবি শিক্ষা মসজিদভিত্তিক মক্তবগুলোতে ইসলামিক স্ট্যাডিজের আওতায় আরবি ভাষা শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করে বাধ্যতামূলকভাবে প্রবর্তন করা। সামাজিক সমস্যা সমাধানে মাদকাসক্তি ও সন্ত্রাসবাদবিরোধী কার্যক্রম এবং যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধে প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণে ইসলামি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ চালু করা।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, যশোর সরকারি সিটি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর দেলোয়ার হোসেন মোল্লা, যশোর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর নাজমুল হাসান ফারুক, ঝিকরগাছা মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমান, সরকারি কলেজ শিক্ষক সমিতি (সকশিস) কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আবু সাঈদ আতিকুর রহমান প্রমুখ। এছাড়াও যশোর জেলার বিভিন্ন উপজেলার শিক্ষক প্রতিনিধি বক্তব্য রাখেন।