জলাবদ্ধ বিদ্যালয়, ভাড়া নেওয়া ঘরে কার্যক্রম

0

নজরুল ইসলাম মল্লিক, অভয়নগর(যশোর)॥ এক মাসের বেশি সময় ধরে একটানা বৃষ্টির কারণে ভবদহ অঞ্চলের ৫০টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দী রয়েছেন। বিদ্যালয়ের ভেতর পানি জমে থাকায় পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।
জুলাই ও আগস্ট মাসে দফায় দফায় বৃষ্টিতে ভবদহের নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। ইতোমধ্যে অভয়নগর উপজেলার চারটি ইউনিয়ন ও নওয়াপাড়া পৌরসভার চারটি অঞ্চলসহ অন্তত ৪০টি গ্রামের স্কুল-কলেজে পানি ঢুকেছে।

বৃষ্টির পানিতে এসব গ্রামের বেশিরভাগ বাড়িঘর, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে অধিকাংশ মাছের ঘের। অনেক পরিবার ঘরের মধ্যে মাচা করে সেখানে বসবাস করছেন। শৌচাগার ও নলকূপ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় এলাকায় পয়ঃনিষ্কাশন ও খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বৃষ্টির কারণে পানিতে তলিয়ে আছে অভয়নগর উপজেলার সুন্দলী ম্যধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের মাঠ। বাধ্য হয়ে পাশে সুন্দলী বাজারে ৩টি ঘর ভাড়া নিয়ে বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম চলছে। এ কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। শুধু সুন্দলী ম্যধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় নয়, উপজেলার সড়াডাঙ্গা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ডুমুরতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সড়াডাঙ্গা জামতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ডাঙ্গা মশিয়াহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ডহর মশিয়াহাটি (উত্তর) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বেদভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বলারাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আন্ধা সরকারি প্রাথমিক
বিদ্যালয়, সড়াডাঙ্গা ডহর মশিয়াহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অর্ধশত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ পানিতে তলিয়ে গেছে।

সুন্দলী ম্যধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী বিপ্লবী সরকার, ৮ম শ্রেণির ছাত্রী মিলি বিশ্বাসসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, বিদ্যালয়ে আসার পথে কোমর পানি। আবার স্কুলের মাঠ হাঁটু পানিতে ডুবে আছে। ক্লাসের ভেতরেও প্রায় ১ ফুট পানি। তারপরও আমরা পানি ভেঙে ক্লাস করতে এসেছি।

বেদবিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র সঞ্জিত কুমার জানায়, এক মাস ধরে বিদ্যালয়ের মাঠ পানিতে তলিয়ে আছে। স্কুলে যেতে আমাদের খুব অসুবিধা হচ্ছে।

অভয়নগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুহা. আবুল কাশেম জানান, উপজেলায় কমপক্ষে
৮টি স্কুলের মাঠ পানিতে ডুবে আছে। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের স্কুলে কষ্ট করে যেতে হচ্ছে।

অপরদিকে অভয়নগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, উপজেলার অন্তত দুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় পানিতে তলিয়ে গেছে।