চুয়াডাঙ্গায় পৃথক হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ

0

চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা॥ চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা ও জীবননগর উপজেলায় সংঘটিত পৃথক দুটি হত্যা মামলায় আজ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো. আকবর আলী শেখ। বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে আসামিদের উপস্থিতিতে চাঞ্চল্যকর এই দুটি মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, বামানগর গ্রামের কাশেম আলীর ছেলে, স্বাধীন আলী এবং চুয়াডাঙ্গা শহরের ফার্মপাড়ার মরহুম বিপ্লব হোসেনের ছেলে, আশিকুর রহমান আশিক। আদালত তাদের মৃত্যুদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। একই মামলায় অভিযুক্ত পাঁচজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২২ সালের ৯ মে রাতে জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জেরে একদল সন্ত্রাসী কামাল হোসেনকে তার বাড়ি থেকে কৌশলে ডেকে নিয়ে মারপিট করে গুরুতর জখম করে। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার ওপর দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ কামালকে উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে এবং পরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সেলিনা আক্তার বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (নিরস্ত্র) ইকরামুল হোসাইন সাতজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলায় স্বাধীন আলী ও আশিকুর রহমান আশিক আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন। ২৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। বাদী পক্ষে পিপি মারুফ সরোয়ার বাবু এবং বিবাদী পক্ষে অ্যাডভোকেট আতিয়ার রহমান মামলা পরিচালনা করেন।

অপরদিকে, জীবননগর উপজেলার গঙ্গাদাসপুর গ্রামের দিনমজুর কৃষক বাবলু রহমান (৪৫) হত্যা মামলায় গঙ্গাদাসপুর গ্রামের ইব্রাহিম মন্ডলের ছেলে, জমির উদ্দিনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২২ সালের ১৬ জুন বেলা পৌনে ১১টার দিকে পূর্ব শত্রুতার জেরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে বাবলু রহমানকে কোদাল দিয়ে মাথায় আঘাত করলে তিনি গুরুতর জখম হন। বাবলুকে উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী চায়না খাতুন বাদী হয়ে জীবননগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে জীবননগর থানার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) সৈকত পাড়ে জমির উদ্দিনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২১ জন সাক্ষীর মধ্যে ২০ জনের সাক্ষ্যপ্রমাণ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ বিচারক এই রায় দেন। এই মামলায় বাদী পক্ষে পিপি মারুফ সরোয়ার বাবু ও অ্যাডভোকেট মর্তুজান মামলা পরিচালনা করেন।