পাট ও পাটজাত পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে সরকারি প্রতিষ্ঠানের নিষ্ক্রিয়তায় ক্ষোভ

যশোরে মতবিনিময় সভা

0

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ যশোরে পাট ও পাটজাত পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ এবং ব্যবহার বৃদ্ধির লক্ষ্যে এক মতবিনিময় সভায় পাটচাষিদের বহুমুখী সমস্যা এবং সংশিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে আলোচনা ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। গতকাল জেলা প্রশাসন ও যশোর পাট অধিদপ্তরের উপপরিচালকের কার্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম।

জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত সভায় বহুমুখী পাটশিল্প উদ্যোক্তা কেন্দ্র এবং জুট ডাইভার্সিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারের (জেডিপিসি) কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন স্বয়ং জেলা প্রশাসক।

জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম পাট অধিদপ্তর যশোরের কর্মকর্তাদের নিষ্ক্রিয়তা এবং কৃষকদের প্রতি আন্তরিকতার ঘাটতি নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘এমন একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান এই জেলায় রয়েছে অথচ আমি ১০ মাসেও জানি না। জেলা প্রশাসন যখন জানে না তখন সাধারণ মানুষ জানবে কীভাবে?’

সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজিবুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহসান হাবীব, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অতিরিক্ত উপপরিচালক সমরেণ বিশ্বাস, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, যশোর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি গোলাম কুদ্দুস, জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারের প্রকৌশলী বোরহান উদ্দীন, আহাদ জুট মিলের প্রতিনিধি আনিসুর রহমান, কৃষক প্রতিনিধি জাকির হোসেন, চাল ব্যবসায়ী মহব্বত আলী বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা কেএম আব্দুল বাকী।

মতবিনিময় সভায় কৃষক ইমরান নাজির, আনিছুর রহমান, সেলিম রেজাসহ অনেক জানান, পাট চাষে সবচেয়ে বড় সমস্যা ন্যায্যমূল্য না পাওয়া। এছাড়া পাট জাগ বা পচানোর জন্য প্রয়োজনীয় পানির তীব্র অভাব এবং সময়মতো মানসম্মত বীজও পাওয়া যায় না।

সভায় পাটকল প্রতিনিধিরাও সময়মতো পাট না পাওয়ার অভিযোগ করেন। তাদের অভিযোগ, পাটের অভাবে মিলগুলোর উৎপাদন প্রক্রিয়া ব্যহত হয়। রপ্তানীর উপরও এর প্রভাব পড়ে।