ত্রাণে চা দিচ্ছে তামিলনাড়ু বাড়তির দিকে চাহিদা

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে ভারতে চলছে লকডাউন। চলমান লকডাউনের মধ্যে অসহায় হয়ে পড়েছে দেশটির বিপুলসংখ্যক দরিদ্র জনগোষ্ঠী। বিশেষ করে অভিবাসী ও দৈনিক মজুরিভিত্তিক শ্রমিকরা। সরকারের সঙ্গে সঙ্গে কর্মহীন এসব শ্রমিককে সাহায্য করছে বিভিন্ন স্থানীয় এনজিও। দেশটির তামিলনাড়ু রাজ্যের শ্রমিকদের সাহায্যার্থে দেয়া ত্রাণের সঙ্গে চায়ের প্যাকেট অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ফলে স্থানীয় এনজিওগুলো কারখানা থেকে পানীয় পণ্যটির ক্রয় বাড়িয়েছে। এতে সামগ্রিকভাবে এ অঞ্চলের গ্রিন ও ব্ল্যাক টি—উভয় ধরনের চায়ের চাহিদা চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। খবর বিজনেস লাইন।
ইনোভেটিভ মাইক্রোফিন্যান্স ফর পভার্টি অ্যালিভিয়েশন অ্যান্ড কমিউনিটি (আইএমপিএসিটি) নামের এনজিওর তামিলনাড়ু শাখার ব্র্যাঞ্চ ম্যানেজার কে গণেশ জানান, চলমান লকডাউনের মধ্যে যেসব শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছেন, তাদের প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহের সঙ্গে নিযুক্ত রয়েছেন তারা। এ লক্ষ্যে ১০০ কেজি চায়ের প্যাকেট ক্রয় করেছে প্রতিষ্ঠানটি এবং জেলা সমাজকল্যাণ অফিসের সমন্বয়কের কাছে সেগুলো হস্তান্তর করেছেন তারা। তিনি বলেন, কর্মহীন শ্রমিকদের সাহায্যের জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে ২ লাখ রুপি সমমূল্যের যে ১৪টি শুকনো রেশন উপকরণ অনুদান হস্তান্তর করেছেন তারা, এর মধ্যে চা ছিল অন্যতম।
দরিদ্র জনগোষ্ঠী ও কভিড-১৯-এর সঙ্গে লড়ে যাওয়া স্বাস্থ্যকর্মী ও নিরাপত্তাকর্মীদের মধ্যে বিতরণের উদ্দেশ্যে তামিলনাড়ু রাজ্যের এনজিওগুলো চায়ের ক্রয় বাড়িয়েছে। তবে অভিবাসী শ্রমিক বা দৈনিক উপার্জনকারী শ্রমিকদের সাহায্য করার লক্ষ্যে এসব এনজিওকে প্রচুর পরিমাণে চা অনুদান দিয়েছে রাজ্যটির নীলগিরি জেলার চা কারখানাগুলো।
তামিলনাড়ুর আভাতা বেভারেজের পরিচালক জি উদয়াকুমার বলেন, কর্মহীন শ্রমিক ও তাদের পরিবারকে দৈনিক ভিত্তিতে চা দান করছেন তারা। এক্ষেত্রে শ্রমিকদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার করতে নিজেদের তৈরি তরল টার্মেরিক গ্রিন টি বেছে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
তিনি বলেন, এ মুহূর্তে চায়ের চাহিদা বেশ চাঙ্গা রয়েছে। শুধু অভ্যন্তরীণ বাজার নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রচুর ক্রয়াদেশ পেতে শুরু করেছেন তারা এবং পানীয় পণ্যটির উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। এর বাইরে অনেক স্থানীয় এনজিও কারখানাগুলো থেকে চায়ের ক্রয় বাড়িয়েছে, যা তারা নীলগিরিতে কভিড-১৯-এর সঙ্গে লড়াইয়ে নিযুক্ত স্বাস্থ্যকর্মী ও পুলিশ সদস্যদের মধ্যে বিতরণ করছে।