এইচএসসি পরীক্ষা শুরু

0

স্টাফ রিপোর্টার্।। আজ উচ্চ মাধ্যমিক সার্টি্ফিকেট পরীক্ষায় (এইচএসসি) বসেছেন ২০২৫ সালের পরীক্ষার্থীরা। যশোর শিক্ষা বোর্ডে এবছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১লাখ ১৬ হাজার ৩৭১, যা গত বছরের থেকে ৬ হাজার ১৯৪ জন কম। পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ২৪০। পরীক্ষার শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। প্রথম দিনে বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা হচ্ছে।

যশোর বোর্ডে এবার বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন (প্রতিবন্ধী) ১৩৪ পরীক্ষার্থী রয়েছে। অনিয়ম রোধে এবরাই প্রথম ভেন্যুব্যবস্থা বাদ দেওয়ায় বেড়েছে কেন্দ্রের সংখ্যা।
নকলমুক্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা নেওয়ার সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে বোর্ড কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের ২০০ গজের ভেতরে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের মোবাইলসহ সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এইচএসসি পরীক্ষায় যশোর এমএম কলেজ কেন্দ্র এলাকায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সহায়তা কেন্দ্র – লোকসমাজ                                    এদিকে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সহায়তার জন্য যশোর জেলা ছাত্রদল কেন্দ্র এলাকায় বিধি নিষেধ মেনে সহায়তা কেন্দ্র বসিয়েছে। অভিভাবকদের বসার জন্য চেয়ার ও পানির ব্যবস্থা করছে ছাত্র সংগঠনটি।                                                                                                             সূত্রে জানা যায়, এই বছর ১৪ জন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পরীক্ষার্থী শ্রুতিলেখকের মাধ্যমে অতিরিক্ত ২০ মিনিট পাবচ্ছন। ১২০ পরীক্ষার্থী শুধু অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় পাবেন। পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের মোবাইলসহ সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

সুন্দর ও নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নকলমুক্ত সুষ্ঠু পরিবেশে পরীক্ষা গ্রহণের লক্ষ্যে একাধিক ভিজিল্যান্স টিম দায়িত্ব পালন করবছ।
পরীক্ষা চলাকালে বিদ্যুৎ-বিভ্রাট নিরসনের লক্ষ্যে কেন্দ্রসমূহে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগকে অবহিত করা হয়েছে। পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীকে অবশ্যই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের পর কোনো পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থী পরে প্রবেশ করলে রেজিস্ট্রারে তাদের নাম, রোল, প্রবেশের সময় ও বিলম্বের কারণ উলে¬খ করে পরীক্ষার্থীদের তালিকা প্রতিদিন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সংশি¬ষ্ট বোর্ডকে অবহিত করতে হবে।
এ ছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কোনো কক্ষে পরীক্ষা বিলম্বে শুরু হলে যত মিনিট পরে শুরু হবে, পরীক্ষার্থীদের ততটুকু সময় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষানিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মতিন বলেন, প্রতিবছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমবেশি হয়। এ বছর পরীক্ষার্থী কমেছে। এটা অস্বাভাবিক মনে হয়নি। গত বছর আন্দোলন-সংগ্রামে ছিল শিক্ষার্থীদের অনেকে। এ জন্য হয়তো ভালো প্রস্তুতি নিতে পারেনি, প্রস্তুতির অভাবে অনেকে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে না। আগামী দিনে ভালো প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নেবে।
তিনি আরও বলেন, নকল ও অনিয়ম বন্ধে এ বছর ভেন্যুব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছে। এ জন্য কয়েকটি কেন্দ্র বেড়েছে। সুষ্ঠু ও নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা নেওয়ার সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।