যশোর বিআরটিএ কার্যালয়ে দুদকের অভিযান, ৩ দালালের দণ্ড

0

মীর মঈন হোসেন মুসা ॥ যশোর বিআরটিএ কার্যালয়ে বুধবার অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তারা। দালালচক্রের দৌরাত্ম্য এবং সাধারণ মানুষের ব্যাপক হয়রানির অভিযোগ রয়েছে এই দফতরে। এরই প্রেক্ষিতে দুদক কর্মকর্তারা সেখানে অভিযান চালান। এ সময় ৩ দালাল হাতেনাতে আটক হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে অর্থদন্ড ও কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দুদক কর্মকর্তারা সাদা পোশাকে প্রথমে বিআরটিএ কার্যালয়ে আসেন। দোতলার কার্যালয়ে তারা বেশ কিছু সময় ধরে ঘোরফেরা করেন এবং কোনো অনিয়ম হচ্ছে কি-না তা গোপনে খোঁজখবর নেন। পরে তারা নিচে গিয়ে ৪ জনকে ধরে আনেন এবং নিজেরা দুদক লেখা কটি পরিধান করেন। তখন জানাজানি হয়ে যায় দুদকের অভিযান।

দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরের সহকারী পরিচালক মো. আল আমীন জানান, তারা দালাল সন্দেহে ৪ জনকে হেফাজতে নিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে খবর দেন। এরপর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুমাইয়া জাহান ঝুরকা সেখানে আসেন। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুমাইয়া জাহান ঝুরকা দুদক কর্মকর্তা, বিআরটিএ পরিদর্শক তারেক হাসান এবং হেফাজতে নেওয়া ব্যক্তিদের বক্তব্য শোনার পর ৩ জনকে দালাল হিসেবে শনাক্ত করেন। অপর একজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে আটক ৩ দালালকে অর্থদন্ড এবং কারাদন্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুমাইয়া জাহান ঝুরকা। এর মধ্যে শহরের বেজপাড়া নলডাঙ্গা রোডের আলী হাসান দুদর ছেলে মারুফ হোসেনকে ৩ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ১ হাজার টাকা অর্থদন্ড এবং চাঁচড়া রায়পাড়ার আব্দুর রশিদের ছেলে আমিনুল কবির ও ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের মতি শেখের ছেলে কামাল হোসেনকে ১ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড প্রদান করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

ওই কর্মকর্তা আরো জানান, এর আগেও তারা একবার বিআরটিএ কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছিলেন। ওই সময় কয়েকজন দালালকে ধরে মোটা অঙ্কের অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছিলো।

বুধবারের ওই অভিযানে অন্যান্যের মধ্যে দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিন এবং উপ-সহকারী পরিচালক চিরঞ্জীব নিয়োগী অংশ নেন।