কোটচাঁদপুরে জয়দিয়া বাওড়ের ইজারাদারকে মারধরের পর নৌকা ও গোডাউনে অগ্নিসংযোগ

0

কোটচাঁদপুর ( ঝিনাইদহ) সংবাদদাতা।। ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার জয়দিয়া বাওড়ে হামলা চালিয়ে ইজারাদার রঞ্জিত হালদারকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের দেয়া আগুনে পুড়ে গেছে বাওড়ের অফিস, গোডাউন ও মাছ ধরার নৌকা। এতে প্রায় ৮০ লাখ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে ইজারাদারের অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সাফদারপুর ইউনিয়নের জয়দিয়া গ্রামে। হামলার পর এলাকায় তীব্র উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

ইজারাদার রঞ্জিত হালদার জানান, ২০২৩ সালে ছয় বছরের জন্য কোটচাঁদপুরের জয়দিয়া বাওড়টি তিনি সরকারের কাছ থেকে ইজারা নেন। দুই বছর ধরে বাওড়ে তিনি মাছ চাষ করে আসছেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এলাকার আমিনুল মোল্লা, আলম হোসেন ও নিত্য হালদারের নেতৃত্বে কয়েকশ নারী পুরুষ ঝাটা মিছিলসহ অফিসে ঢুকেই তাকে মারধর করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি বরেন।

তিনি অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা অফিস ও মাছের খাবার রাখা গোডাউন পুড়িয়ে দিয়েছে। এ সময় মাছ ধরার জাল ও ৮টি নৌকা সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়। আগুনে প্রায় ৮০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। এ ঘটনায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৫০/৬০ অজ্ঞাত ব্যক্তির নামে কোটচাঁদপুর মডেল থানায় মামলা করেছেন।

জয়দিয়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি শীতল হালদার জানান, যশোর অঞ্চলের ছয়টি বাওড়ের ইজারা বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার সকালে বাওড় এলাকায় তাদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশ চলছিল। এ সময় ইজারাদারের লোকজন বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

শিক্ষক আমিনুল মোল্লা বলেন, সোমবার বাওড়ে একটি নৌকা বাইচ ছিল। তাদের কাছে নৌকা চাওয়া হয়েছে। তারা আমাদের কোন সহায়তা করেনি। পরে জানতে পারলাম হালদার সম্প্রদায়ের লোকজন বাওড়ের নামতে পারেন না। সাধারণ মৎস্যজীবীদের বাওড়ে কোন অধিকারই নেই। তিনি আরো জানান, স্থানীয় লিটন নামের একজন ইজারাদারের পক্ষে বাধা দিলে ওই ঘটনা ঘটে। তিনি দাবি করেন এ সময় কাউকে মারধর করা হয়নি।
কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)কবির হোসেন মাতুব্বর বলেন, বাওড়ের ঘটনায় একটি অভিযোগ

করেছেন ভুক্তভোগী ইজারাদার। কিন্তুএজাহারের সঙ্গে ঘটনার কোন মিল নেই। তারা লিখেছেন একাশি লাখ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে। তবে বাস্তবে তেমনটা না। ওসি আরো জানান, বাওড় নিয়ে হালদার সম্প্রদায়ের মধ্যে দুইটি গ্রুপ আছে। গ্রুপিং থেকেই এমন ঘটনা ঘটেছে।