বাঘারপাড়ায় আ. লীগ নেতার বিরুদ্ধে অর্পিত সম্পত্তির গাছ কাটার অভিযোগ

0

বাঘারপাড়া (যশোর) সংবাদদাতা॥ যশোরের বাঘারপাড়ায় এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে অর্পিত (ভিপি) সম্পত্তির গাছ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে গাছ কাট বন্ধ হলেও অধের্কেরও বেশির ভাগ কাঠ সরিয়ে ফেলেছেন উপজেলার জামদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নিখল কুমার আঢ্য। বুধবার জামদিয়া ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

বাঘারপাড়া উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, জামদিয়া ইউনিয়নের রঘুরামপুর মৌজার কমলাপুর গ্রামে ১/১ (অর্পিত) খতিয়ানে সাড়ে ৫ একর সম্পত্তি রয়েছে। যা ২৪ টি দাগে ধানি, ডোবা ও বাস্ত শ্রেণির। এর মাত্র ৭৫ শতাংশ জমির ডিসিআর কেটে পুরো জমিই ভোগ-দখল করছিলেন এ আওয়ামী লীগের ওই নেতা। গত ১৫ বছরে সাবেক সংসদ সদস্য রণজিত রায়ের ছত্রছায়ায় থেকে তিনি এ দখলদারিত্ব কায়েম করেন। ক্ষমতার পালাবদলের পর গোপনে গাছগুলো বিক্রির চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

এ ছাড়াও অদৃশ্য ক্ষমতার জোরে ভাঙ্গুড়া আদর্শ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদটিও দখলে রেখেছেন নিখিল কুমার আঢ্য।

সরেজমিনে কমলাপুর গ্রামে দেখা যায়, নিখিল আঢ্যর বাড়ির পুকুর পাড়ের মেহগনি, জামসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কাটছেন শ্রমিকরা। সেখানে বড় চারটি মেহগনিগাছ ও একটি জামগাছ পড়ে আছে। এ সময় শ্রমিকরা জানান, গাছগুলো করিমপুর গ্রামের কাঠের ব্যাপারী ইমদাদুল হক কিনেছেন। কয়েক ভ্যান সেখানে পাঠানো হয়েছে। ইমদাদুল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তিনি একটি পাড়ের গাছ কিনেছেন। অন্য ব্যপারীরা বাকি গাছ কিনেছেন।

অভিযোগের বিষয়ে নিখিল আঢ্য জানান, যে জমি থেকে গাছ কাটা হচ্ছে সেটি তার রের্কর্ডের সম্পত্তি। তবে অপিত সম্পত্তি যা আছে তা নিয়ে মামলা চলমান আছে।

বাঘারপাড়া ভূমি অফিসের একটি সূত্র জানিয়েছে, কিছুদিন আগে ওই জমি পরিমাপ করা হয়েছে। সূত্রটি জোরালোভাবে দাবি করেছে, নিখিল আঢ্যর বাড়ি, পুকুর ও আশপাশের সব সম্পত্তিই ১/১ খতিয়ানের অর্ন্তভুক্ত।
বাঘারপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শোভন সরকার জানিয়েছেন, সংবাদ পেয়ে সেখানে সংশ্লিষ্ট ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে। সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে গাছের জব্দ তালিকা তৈরি করেছেন।

যেহেতু বিপুল পরিমাণ গাছ ও স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের ব্যস্ততা থাকায় গাছ সেখান থেকে উঠিয়ে আনার সুযোগ কম রয়েছে। কাটা গাছ স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় রাখা হয়েছে। ঈদের পর অফিস খুললে সরেজমিনে জমি পরিমাপ করা হবে। যদি গাছগুলো ভিপি সম্পতির হয় তা হলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।