যশোরে হাসিনা পরিবারের সদস্যদের নামের প্রতিষ্ঠানের তালিকা চেয়েছে মন্ত্রণালয়

0

সাইফুর রহমান সাইফ॥ পতিত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে যেসব প্রতিষ্ঠান আছে তার তালিকা চেয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়। পতিত স্বৈরাচারের নাম বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে সরিয়ে তা পরিবর্তনে এ তালিকা চাওয়া হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

এ বিষয়টি নিশ্চিত করে যশোরের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. রফিকুল হাসান বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি এমনটি চাওয়া হয়েছে। তবে কী কারণে তা চাওয়া তা তিনি বলতে পারেননি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অন্তর্বর্তী সরকার বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নাম সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তার অংশ হিসেবে দেশের নানা স্থানে তাদের নামের প্রতিষ্ঠানের তালিকা চাওয়া হয়েছে। ভূমি মন্ত্রণালয় ভূমি অফিসের মাধ্যমে এ তালিকা চেয়েছে। তালিকা হাতে পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক যশোরের ইনভেস্টরস অ্যাসোসিয়েশনে সভাপতি আহসান কবীর দৈনিক লোকসমাজকে জানান, এ প্রতিষ্ঠানের নামের সাথে আগে পতিত স্বৈরাচারের নাম জড়িত ছিল। পরে তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তা পরিবর্তন করা হয়। সরকারিভাবেই তা করা হয়।

বিভিন্ন সূত্র জানায়, পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা তার দীর্ঘ শাসনামলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে কিংবা নতুন কোন প্রতিষ্ঠান তৈরি হলে তা তার পরিবারের কোন না কোন সদস্যের নামে রেখেছেন। এটা করে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন দেশটা তাদের পরিবারের সম্পত্তি। রাজধানী ঢাকাসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে তিনি এ কাজটি করেছেন। এমনকি পাঠ্যবইয়ের কোন কোন বিষয়ে অযাচিতভাবে তার পিতার নাম ঢুকিয়ে দিয়েছেন। স্বাধীনতার ঘোষণায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নাম বাদ দিয়ে সেখানে তার পিতার নাম প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।

যশোরে পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা বা তার পরিবারের নামে তেমন কোন প্রতিষ্ঠানের নাম নেই। তবে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলের নামটি এখনো তার নামে রয়ে গেছে। যদিও ছাত্ররা সে নাম মুছে দিয়েছে। কিন্তু কাগজে- কলমে এখনো তা রয়ে গেছে। অবশ্য নথিপত্র থেকে তা পরিবর্তনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ল্যাব নামে কম্পিউটার ল্যাবের নামকরণ করা হয়। স্বৈরাচার পতনের পর তা মুছে ফেলা হয়। তবে সরকারি নথিতে তা কোন অবস্থায় আছে তা জানা যায়নি।

এ প্রসঙ্গে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ শাখার তথ্য কর্মকর্তা নাজমুল হোসাইন দৈনিক লোকসমাজকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলের নাম শেখ হাসিনা ছাত্রী হল ছিল। ছাত্ররা তা মুছে দিয়েছে। তবে কাগজে-কলমে এখনো তা রয়ে গেছে। এরিমধ্যে তা অপসারণে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামী রিজেন্ট বোর্ডের সভায় তা তোলা হবে। সেখানে পাস হলে তা আনুষ্ঠানিকভাবে পরিবর্তিত হবে।