কম দামে হতাশা গদখালীর ফুল বাজারে

0

তহীদ মনি ॥ ভালোবাসার রঙ নিয়ে সেজেছে যশোরের ঝিকরগাছায় গদখালী ফুলের বাজার। প্রতিদিন সূর্য ওঠার আগে ফুলে ফুলে ভরে ওঠে বাজার এলাকা। কেউ ভ্যানে, কেউ সাইকেলে, মোটরসাইকেলে ফুল নিয়ে হাজির হন ফুলচাষিরা। গোলাপ, জারবেরা, গাঁদা, গ্লাডিউলাস, রজনীগন্ধা, চন্দ্রমল্লিকাসহ হরেক রঙে নানান ধরনের ফুলে ঠাঁসা বাজারটি। ঝিকরগাছা, শার্শা ও সদর ৩ উপজেলার ফুল চাষিদের ভালোবাসা ও পরিশ্রমের ফসল ফুল শহরের উৎসব-অনুষ্ঠান রঙিন করে। ১৫ হাজার কৃষক ৬ হাজার হেক্টর জমিতে ফুলের সুববাস ছড়াতে কাজ করেন দিন রাত। ফেব্রুয়ারি আসার আগ থেকে তাদের পরিশ্রম আরো বাড়ে। এ মাসে থাকে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস, বসন্তবরণ ও ২১ ফেব্রুয়ারি-শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। সব ফুল ভালোদামে বিক্রি হবে এ মাসে সবচেয়ে বেশি লাভ দেখবেন কৃষকরা, পরিবারে আসবে আর্থিক সচ্ছলতা। কিন্তু এবার দাম নিয়ে হতাশ চাষি ও ব্যবসায়ীরা।

বিগত বছরগুলো ফেব্রুয়ারিতে শত কোটি টাকার ফুল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা থাকতো এখানকার চাষিদের। এ বছর লক্ষ্যমাত্রার কথা কেউ জানাননি। বাজারে প্রচুর ফুলের সরবরাহ। সতেজতা রয়েছেও। তবে দাম খুবই কম। গোলাপ প্রতি শ ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, জারবেরা ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, গ্লাডিউলাস ২০০ থেকে ৫০০ টাকা, ফুলে কোন দাগ পড়লে তো বিক্রিই হচ্ছে না। গাঁদা প্রতি হাজার তিন থেকে সাড়ে তিনশ টাকা। ফলে ভালোবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে তাদের শ্রমের ভালোবাসার মূল্য প্রাপ্তি নিয়ে শঙ্কিত চাষিরা।

ফুল চাষি আহমেদ আলী ও মঞ্জুরুল আলম জানান, হঠাৎ গরম পড়ে যাওয়ায় আগেই ফুটে যাচ্ছে ফুল। সরবারাহ বাড়লেও চাহিদা তৈরি হয়নি ক্রেতাদের মাঝে। বিশেষ করে ঢাকাসহ বাইরের জেলাগুলোতে এখনো ফুল পাঠানো শুরু হয়নি। তবে ব্যবসায়ী নাসিরন নাহার আশা করেন, ২/১ দিনের মধ্যে দাম চাষিদের অনুকূলে যাবে।

ফুল চাষি ও ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আবুল খায়ের ও সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর জানান, বাজারে দাম দিবসগুলো কাছাকাছি আসলে আরও কিছু বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফুলের সরবরাহ প্রচুর বাজারে। তবে হঠাৎ শীত কমে যাওয়ার কারণে ফুল সংরক্ষণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।