অগ্রহায়ণের শেষ লগ্নে যশোরে শীতের কাঁপন

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পৌষ আসার এখনো ৩ দিন বাকি। এরই মধ্যেই দিনভর কুয়াশার চাদর; সঙ্গে উত্তুরে হাওয়া। সূর্যের দেখা মিলছে না দুপুরের আগে। ফলে বাড়ছে শীতের অনুভূতি। গতকাল বুধবার যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। সাথে ছিল ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটার বেগে ঝিরঝিরে বাতাস। উত্তর, উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আসা বাতাসে দাপটে শীতের অনুভূতিটা বেশিই ছিল। আবহাওয়া অফিস বলছে, আজও শীতের দাপট থাকবে।
যশোর বিমান বাহিনী নিয়ন্ত্রিত আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, গতকাল যশোরের স্বাভাবিক সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে সকাল ছয়টা তাপমাত্রা ছিল সর্বনিম্ন ১৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সন্ধ্যা ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সন্ধ্যা থেকে রাত আট পর্যন্ত দুই ঘন্টার ব্যবধানে তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে কমে হয় ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অ্যাকুওয়েদারের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যশোরের বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’। আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসতে পারে।
বাংলাদেশে শীতের দাপট মূলত চলে জানুয়ারি মাসজুড়ে। ২০১৮ সালের ৮ জানুয়ারি পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ২০১৩ সালের ১১ জানুয়ারি সৈয়দপুরের তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছিল। এর আগে ১৯৬৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্মরণকালে ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছিল ৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে, শীতের আগমনীতে ব্যস্ততা বেড়েছে লেপ, তোষক ও জাজিম তৈরির কারিগরদের। বেড়েছে গরম কাপড়ের বিক্রি। সাথে ছিন্নমূল ও দরিদ্র মানুষের কষ্টও বাড়ছে।