যশোর উপশহরে ইমু হত্যার ৩ বছর পর চার্জশিট,অভিযুক্ত ৯

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর উপশহরের শিশু হাসপাতালের বিপরীতে চায়ের দোকানে সৈয়দ এহসানুল হক ইমু নামে এক যুবক হত্যার সাড়ে ৩ বছর পর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পিবিআই। ৯ জনকে অভিযুক্ত করে সম্প্রতি আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই’র এসআই স্নেহাশিস দাশ।
চার্জশিটে অভিযুক্তরা হলেন- যশোর শহরের পুরাতন কসবা ঘোষপাড়ার আব্দুল হান্নানে ছেলে আল শাহরিয়ার, বিধূভুষন রোডের ফারুক হোসেন ওরফে ছিরুর ছেলে বিপ্লব হোসেন ওরফে বাবু ও ফারদিন হাসান দুর্জয়, আমবাগন এলাকার হাশেম সরদারের ছেলে শাহিন সরদার, বাবুর ছেলে আসিফ হাসান, শেখ শওকত আলীর ছেলে ইয়াসিন আরাফাত, শাহাদত হোসেন সবুজের ছেলে আসাদুজ্জামান সুইট, পুরাতন কসবার সফি সরদারের ছেলে সোহাগ রহমান ও শেখহাটি জামরুলতলা এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মাসুদ পারভেজ।
মামলা ও তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২১ জুন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপশহর শিশু হাসপাতালের বিপরীতে রয়েল টি-স্টলে বসে চা পান করছিল শাকিল, শাখাওয়াত ও তানভীর নামে তিন যুবক। এ সময় আসামি দুর্জয় ও মাসুদ একটি মোটরসাইকেলে করে সেখানে যায়। মাদক বিক্রি সংক্রান্ত বিষয়ে আগে থেকে শাকিলের সাথে দুর্জয়ের শত্রুতা ছিল। এ কারণে দুর্জয় সেখানে গিয়ে শাকিলকে মারধর করতে থাকেন এবং তার মোটরসাইকেলের চাবি কেড়ে নেন। তখন সেখানে উপস্থিত উপশহর বি ব্লক মসজিদের পাশের সৈয়দ ইকবাল হোসেনের ছেলে সৈয়দ এহসানুল হক ইমু গোলাযোগ থামানোর চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে তিনি দুর্জয়কে কয়েকটি থাপ্পড় মারেন তাকে নিবৃত করতে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দুর্জয় পুরাতন কসবা এলাকার তার সহযোগীদের সংবাদ দেন। সংবাদ পেয়ে বাবু ও সোহাগ একটি মোটরসাইকেলযোগে ও অপর আসামিরা দুইটি অটো রিকসাযোগে ঘটনাস্থলে সেখানে যান। তারা ইমুকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে গুরুতর জখম করে চলে যায়। পরে একজন রিকশাচালক ইমুকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত পৌনে নয়টার দিকে ইমু মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের পিতা সৈয়দ ইকবাল হোসেন কোতয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।