শ্যামনগর-ভেটখালী মহাসড়কের বেহালদশা, সুন্দরবনে যাতায়াতে ভোগান্তি

0
শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) সংবাদদাতা।। সাতক্ষীরা থেকে ভেটখালী মহাসড়কের বেহালদশা, চলাচলে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এ কারণে এ পথে সুন্দরবনে যাতায়াতকারীদের সংখ্যাও কমেছে।
সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উপ- সহকারী প্রকৌশলী মোঃ রাফিউজ্জামান জানান, এ সড়কটি ১৯৯৮ সালে সর্বশেষ কাজ হয়েছিল। দীর্ঘ ২৬ বছর কোন উন্নয়নমূলক কাজ হয়নি।  ফলে সড়কটি বেশি খারাপ অবস্থার সৃষ্টি  হয়েছে।
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, সাতক্ষীরা লাবনী মোড় থেকে ভেটখালী পর্যন্ত ২০২৩ সালে একনেকে অনুমোদন হয় ৬ শত ৯৭ কোটি টাকা লাবনী মোড় থেকে ভেটখালী পর্যন্ত ৬ গ্রুপে ৬ জন ঠিকাদার কাজ করবে। বর্তমানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে সিএস ( তুলনামূলক বিবরণী) অনুমোদন না হলে ঠিকাদাররা কাজ শুরু করতে পারবেন না।  এ সড়কটি জেলা মহাসড়ক থেকে আঞ্চলিক মহাসড়কে রূপান্তরিত হয়েছে। বর্তমানের এ সড়কটি প্রস্থ ১৮ ফুট অর্থাৎ ৫ দশমিক ৫ মিটার রয়েছে। বর্তমান দরপত্রে সাতক্ষীরা লাবনী মোড় থেকে কালিগঞ্জ পর্যন্ত প্রস্থ  ৩৩ দশমিক ৫০ ফুট ও কালিগঞ্জ থেকে ভেটখালী পর্যন্ত প্রস্থ ৭ দশমিক ৩ মিটার অর্থাৎ ২৪ ফুট চওড়া হবে।
তিনি আরও জানান, সাতক্ষীরা থেকে  সুন্দরবনে যাওয়ার একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এটি ।  সড়কটি দিয়ে সাতক্ষীরার ৪ টি উপজেলার মানুষ যাতায়াত করে থাকে। সড়কটিতে দ্রুত কাজ হলে সড়কপথে পর্যটকরা অল্প সময়ের মধ্যে ভেটখালী কলবাড়ি ও মুন্সিগঞ্জে পৌঁছে সুন্দরবনের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন।এছাড়া সাতক্ষীরা হতে মাছ রপ্তানি করে  সরকার লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব পাবে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে ও শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সহযোগিতায় গড়ে ওঠা কলবাড়ি ও মুন্সীগঞ্জে সবুজ মনোরম সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রজাতি গাছের মধ্যে গড়ে ওঠা আকাশলীনা ইকোট্যুরিজম ইকো পার্ক। নীলডুমুরে রয়েছে বিজিবির হেডকোয়াটার, বন বিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জ অফিস, নৌ থানা ও টুরিস্ট পুলিশ ফাঁড়ি। কলবাড়ি থেকে নীলডুমুর পর্যন্ত জেলা বোর্ডের রাস্তায় দুই পাশে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান l কাঁকড়া ও বাগদার রেনুর হ্যাচারি l এ সমস্ত শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিমাসে সফ্টসেল কাঁকড়া  চিটাগাং কক্সবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে । যার কারণে রাস্তাটি খুব গুরুত্বপূর্ণ l  এই সড়কটির বেহালদশায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে মানুষ l.