শার্শার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ফিরোজার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হেরোইনের একটি মামলায় শার্শা উপজেলার বড়আঁচড়া গ্রামের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ফিরোজা বেগম ওরফে ফিরুকে (৪৮) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছেন আদালত। একই সাথে তাকে ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও ১ মাসের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। গতকাল সোমবার অতিরিক্ত দায়রা জজ ৭ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ জাকির হোসেন টিপু এই রায় প্রদান করেন।
আদালতের পেশকার মো. শাহারিয়ার ইবনে আজাদ জানান, সাজাপ্রাপ্ত ফিরোজা বেগম ওরফে ফিরু বড়আঁচড়া গ্রামের আব্দুস সালামের স্ত্রী। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২০ জানুয়ারি সকাল পৌনে ১০টার দিকে বেনাপোল পোর্ট থানার এসআই কাজী এহসানুল হক একটি চুরি মামলার চোরাই মালামাল উদ্ধারের জন্য বড়আঁচড়া এমপি মার্কেটের সামনে অভিযান চালান। এ সময় সেখান থেকে মোস্তফা ওরফে মোস্ত নামে এক যুবককে আটক করেন তিনি। পরে তার কাছ থেকে চুরি যাওয়া ২টি মোবাইল ফোনসেট এবং নগদ ৪ হাজার ৮শ’ টাকা উদ্ধার করেন। এ সময় পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মোস্ত স্বীকার করেন যে, চুরি যাওয়া আরও মোবাইল ফোনসেট ও টাকা তার মা ফিরোজা বেগমের কাছে রয়েছে। এরপর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ বড়আঁচড়া গ্রামে তাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ফিরোজা বেগমকে আটক করে। আটকের পর তার স্বীকারোক্তিতে খাটের নিচে থাকা একটি ট্র্যাংকের ভেতর থেকে চোরাই ৩টি মোবাইল ফোনসেট ও নগদ ৬৫ হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। এছাড়া ট্র্যাংকের ভেতর থেকে পলিথিনের প্যাকেটে রাখা ১শ’ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এসআই কাজী এহসানুল হক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা করেন। এরপর মামলার তদন্ত শেষে আসামি ফিরোজা বেগমকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন বেনাপোল পোর্ট থানার এসআই শরীফ হাবিবুর রহমান।
ওই মামলায় আসামি ফিরোজা বেগমের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালতের বিচারক তাকে উল্লিখিত সাজা প্রদান করেন। আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আসামি ফিরোজা বেগম আটকের পর আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন। কিন্তু রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে অনুপস্থিত থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন বিচারক।