যশোরে স্বর্ণ উদ্ধারের আরো একটি মামলায় গোল্ড নাসিরসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর-মাগুরা সড়কের বাহাদুরপুর থেকে ১৫ কেজি ৭২৮ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধারের ঘটনায় বেনাপোলের আলোচিত স্বর্ণ চোরাচালান সিন্ডিকেটের হোতা নাসির হোসেন ওরফে গোল্ড নাসিরসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল হয়েছে। সিআইডি ঢাকার ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম (অর্গানাইজড ক্রাইম) ইনসপেক্টর আশরাফুল ইসলাম এ চার্জশীট দাখিল করেন। কয়েকদিন আগেও স্বর্ণ উদ্ধারের আর একটি মামলায় গোল্ড নাসির অভিযুক্ত হয়েছিলেন।
চার্জশিটে অভিযুক্ত আসামিরা হলেন, বেনাপোল পোর্ট থানাধীন পুটখালী গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে নাজমুল হোসেন, সাহেব আলীর ছেলে রমজান আলী, মৃত বুদো সরদারের ছেলে নাসির উদ্দিন ওরফে গোল্ড নাসির, দুর্গাপুর গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে জাহিদুল ইসলাম, চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানাধীন দেওয়ান বাড়ি গ্রামের আতিউল্লাহ বেপারি ওরফে অলি বেপারির ছেলে রবিউল আলম রাব্বি, খাগুরিয়া গ্রামের মিয়াজি বাড়ির আব্দুর রশিদ মিয়াজির ছেলে আরিফ মিয়াজি, মাদারীপুর সদরের বলসা মধ্যপাড়ার আবুল কালাম মাতুব্বরের ছেলে আবু হায়েত জনি, কুমিল্লার দাউদকান্দির নৈয়াইর গ্রামের সিরাজ বেপারি ওরফে মিরাজ বেপারির ছেলে শাহাজালাল ও নলচক গ্রামের মোহাম্মদ আব্দুল হকের ছেলে মোহাম্মদ আনিসুর রহমান।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ৩১ মে যশোর ৪৯ বিজিবি’র সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন, ভারতে পাচারের জন্য ঢাকা থেকে ৩টি প্রাইভেটকারে করে স্বর্ণের একটি চালান বেনাপোল সীমান্তে নিয়ে যাওয়া হবে। এ খবর পেয়ে পরদিন বিজিবি’র একটি টিম যশোর-মাগুরা সড়কের বাহাদুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। এরপর ওইদিন গভীর রাতে যশোরের দিকে তিনটি প্রাইভেটকার আসতের দেখে বিজিবি সদস্যরা গতিরোধ করেন। এ সময় ৩টি প্রাইভেটকারের চালকসহ ৬ জনকে আটক করা হয়। পরে তল্লাশি চালিয়ে প্রাইভেটকারের ভেতর থেকে অভিনক কায়দায় লুকিয়ে রাখা ১৫ কেজি ৭২৮ গ্রাম ওজনের স্বর্ণের ১৩৫টি বার উদ্ধার করেন বিজিবি সদস্যরা। এ ঘটনায় বিজিবি হাবিলদার মাহবুব আলম আটক ৬ জনসহ অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে চোরাচালান দমন আইনে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে আটক ৬ জন ছাড়াও বেনাপোলের গোল্ড নাসিরসহ আরও ৩ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় মোট ৯ জনকে অভিযুক্ত করে সম্প্রতি যশোরের আদালতে চার্জশিট দাখিল করে সিআইডি।
এর কয়েকদিন আগে যশোরের রাজারহাট থেকে প্রায় ৯ কেজি স্বর্ণ উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গোল্ড নাসিরসহ দুই জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছিলো সিআইডি।