ফকিরহাটে নতুন জাতের ব্রি-১০৬ ধানের অভাবনীয় ফলনে কৃষক খুশি

0

 

ফকিরহাট (বাগেরহাট) সংবাদদাতা ॥ ফকিরহাটে পরীক্ষামূলকভাবে ব্রি-১০৬ ধান চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। এই জাতের অভাবনীয় ফলনে কৃষকরা খুশি। হেক্টর প্রতি সর্বোচ্চ ৫ দশমিক ৪৯ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনে ফলনের ধারণা বদলে দিয়েছে এ জাতটি।
সোমবার উপজেলার বাহিরদিয়ার আট্টাকা গিয়ে দেখা যায়, চারজন চাষি দেড় হেক্টর জমিতে ব্রি-১০৬ ধান চাষ করেছেন। প্রথমবার পরীক্ষামূলকভাবে চাষে আশাতীত ফলন হওয়ায় অন্য চাষিদেরও আগ্রহ বেড়েছে। অসময়ে উৎপাদিত ধান ও খড় চড়া দামে বিক্রি করে কৃষকেরা অধিক লাভ করছেন বলে জানান। আউশ মৌসুমের অ-লবণাক্ত জোয়ার-ভাটা অঞ্চলের চাষকৃত ধানটির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি হওয়ায় কৃষকের খরচ কম। অন্যদিকে অধিক ফলনে লাভের পরিমাণ বেশি।
কৃষক জাহাঙ্গীর শেখ জানান, উপজেলা কৃষি অফিস ধানের বীজ, সার, ওষুধসহ পরামর্শ দিয়ে সার্বিক সহযোগিতা করেছে। তার এক একর জমি চাষ করতে ২৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ২৫ শতক জমির ধান ইতোমধ্যে ১ হাজার ২ টাকা মণ দরে ও খড় বিঘা প্রতি ১৮ হাজার টাকা দরে বিক্রি করেছেন। সব খরচ বাদ দিয়ে তিনি ৬০ হাজার টাকা লাভ করতে পারবেন বলে আশা করেন।
ব্রি-১০৬ ধান চাষি নূপুর আক্তার, সেলিম সেখ ও কামরুল ইসলাম জানান, এ জাতের ধানে প্রতি ছড়ায় গড়ে ১ হাজারটি পুষ্ট ধান থাকে। প্রতি ছড়ায় গড়ে সাড়ে ২৪ গ্রাম ধান পাওয়া যায়।
উপজেলা কৃষি অফিসের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিপুল মজুমদার বলেন, পার্টনার প্রকল্পের অধীনে তিনটি প্রদর্শণী প্লটে ব্রি-১০৬ ধান চাষ করা হয়েছে। এধানের চাষে উৎপাদন বেশি এবং খরচ কম। কৃষকের লাভ বেশি হওয়ায় এই ধানের চাষে আগ্রহ দেখিয়েছেন কৃষকেরা।
ফকিরহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শেখ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, নতুন উদ্ভাবিত ব্রি-১০৬ ধানটি আমদানিকৃত হাইব্রিড ধানগুলোর চেয়ে ফলন ও অন্যান্য গুণাগুণে উৎকৃষ্ট। এর দানায় অ্যামাইলোজের পরিমাণ শতকরা ২৭ দশমিক ২ ভাগ এবং প্রোটিন শতকরা সাড়ে ৮ ভাগ। এ কারণে বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে এবং আমদানি নির্ভর হাইব্রিড ধানের বাজারে ভারসাম্য রক্ষা করতে সক্ষম হবে।