বেড়েই চলেছে পেঁয়াজ সবজির দাম

0

শেখ আব্দুল্লাহ হুসাইন ।। যশোরে এ সপ্তাহে আরও এক দফা বেড়েছে পেঁয়াজের দাম । বেড়েছে সবজির দামও। কুরবানি ঈদের পরে চিকন চালের দাম বেড়ে আর কমেনি। তবে খামারের মুরগির দাম এ সপ্তাহে কিছুটা কমেছে। গতকাল শুক্রবার বড় বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
যশোরের বড় বাজারে এ সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজের কেজিতে আরও ১০ টাকা বেড়েছে। শুক্রবার খুচরা বিক্রেতা জয়দেব সাহা দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১১০ টাকা করে বিক্রি করেছেন। আলু বিক্রি করেছেন প্রতি কেজি ৬০ টাকা। তিনি জানান স্থানীয় আড়ত থেকে বেশি দাম দিয়ে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। পাইকারি ব্যবসায়ী বাগান চন্দ্র সাহা জানান, তিনি এদিন তার আড়তে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ পাইকারি ১০৫ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। তিনি আরও জানান, বর্তমানে দেশি পেঁয়াজের সংকট চলছে। সামনের দিনগুলোতে পেঁয়াজের দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা করেন তিনি।
বাজারে বেশ কিছু সবজি গত সপ্তাহের তুলনায় খানিকটা বেশি দামে বিক্রি হতে দেখা যায়। খুচরা বিক্রেতা নাসির আলী জানান, তিনি এদিন ভালো মানের উচ্ছে প্রতি কেজি ১৬০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৪০ টাকা। গাজর প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ১৭০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। শসা বিক্রি হয়েছে ৭০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা। তাছাড়া এ সপ্তাহেও বাড়তি দামে অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য সবজি। শুক্রবার টমোটো প্রতি কেজি ১৪০ টাকা, বেগুন ১২০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, করোলা ১০০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা ও মুখিকচু ৭০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। সবজির পাইকারি বিক্রেতা বড় বাজারের আরিফ ভা-ারের অন্যতম স্বত্বাধিকারী বাবলু কাপুড়িয়া জানান, বর্ষায় চাষিদের সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। বাজারে সরবরাহ কমেছে। চাহিদার তুলনায় সবজি কম আসায় দাম বেড়েছে।
এ বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হলেও বাজারে চালের দাম কমেনি। বরং কুরবানি ঈদের পর চিকন চালের দাম কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। শুক্রবার বড় বাজার চালবাজারে চিকন বাংলামতি চাল প্রতি কেজি মানভেদে ৮০ থেকে ৮৪ টাকা ও মিনিকেট চাল ৫৮ থেকে ৬৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এই দুই জাতের চালে ১০ টাকা করে বাড়ার পর এখনও সেই বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া অন্যান্য চালের দামও এ মৌসুমে কমেনি। এদিন কাজললতা মানভেদে ৫৬ থেকে ৬২ টাকা, বিআর-৬৩ চাল ৬৪ থেকে ৬৬ টাকা, বিআর-২৮ চাল ৫৬ থেকে ৫৮ টাকা ও মোটা নূরজাহান চাল ৪৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। যশোর চাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সুশীল কুমার বিশ^াস জানান, হাট-বাজার থেকে বড় ব্যবসায়ীরা প্রচুর পরিমান ধান কিনছেন। এ বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হলেও নানা কারণে বাজারে এর সুফল পাওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে ভরা বর্ষা মৌসুমে চাহিদা কম হওয়ায় খামারের মুরগির দাম কিছুটা কমে বিক্রি হতে দেখা যায়। শুক্রবার বড় বাজারে সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হয়েছে ২৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা। লেয়ার মুরগি বিক্রি হয়েছে ৩৩০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকা।