এমপি আনার হত্যার মোটিভ আসলে কী ?

0

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ ॥ ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের হত্যার মোটিভ আসলে কী তা সুনির্দ্দিষ্টভাবে এখনও প্রকাশ করা হয়নি। বিশ্বব্যাপী আলোচিত এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে কলকাতার পুলিশ ও সিআইডি গণমাধ্যমে আর কোনো বক্তব্য দিচ্ছে না। তবে এক্ষেত্রে সরব রয়েছে বাংলাদেশের ডিবি পুলিশ। এদিকে আনারের বন্ধু সেই গোপাল বিশ্বাসও রয়েছে পর্দার আড়ালে। তাকে মিডিয়ার সামনে অদৃশ্য কারণে আনা হচ্ছে না। তার বাড়িতে এমপি আনারের ব্যবহার্য জিনিসপত্র কী কী আছে তাও ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়নি। মানুষের হাড়গোড় ও মাংসের টুকরা পাওয়া গেলেও এমপি আনারের ডেড বডির স্বীকৃতি মেলেনি এখনো। পাওয়া যায়নি তার চশমা, পরিহিত কাপড়, পরিচয়পত্র, লাল পাসপোর্ট, হাতঘড়ি ও বাংলাদেশ থেকে নিয়ে যাওয়া ব্যাগ। ফলে তার দাফন কাফন ও জানাজা আদৌ হবে কিনা আর হলেও কবে নাগাদ হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। আনারের পরিবার চাচ্ছে এক টুকরো মাংস হলেও তা ইসলামী রীতিমতে দাফন করতে। কিন্তু হত্যার এতোদিন পার হলেও এখনো তা হয়নি। এ নিয়ে আনার পরিবারের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।
ইতোমধ্যে পুরো ঘটনাটি একেক দিন একে দিকে মোড় নিচ্ছে। প্রথম বলা হলো সোনা চোরাচালানের দ্বন্দ্ব নিয়ে আনার খুন হয়েছে। সেখানে অর্থের ভাগাভাগি, টাকা মেরে দেওয়া, সীমান্তে আধিপত্য বিস্তার ও ব্যবসায়িক বিরোধের কথাও উঠে আসে। এখন বিষয়টি রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও বিরোধের দিকে গড়াচ্ছে। ফলে সহসাই এমপি আনার হত্যার তদন্ত থামছে না বলে অনেকেই মনে করেন।
উল্লেখ্য, গত ১২ মে ভারতে চিকিৎসার জন্য গিয়ে নিখোঁজ হন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার। ২২ মে তাকে হত্যার খবর আসে। এ ঘটনায় বাংলাদেশ ও ভারতে গ্রেফতার হওয়া আসামিদের স্বীকারোক্তি অনুসারে কিছু হাড় ও মাংস উদ্ধার হয়েছে। সেগুলো আনারের কিনা তার ফরেনসিক পরীক্ষা করে ডিএনএ টেস্টের জন্য তার মেয়েকে ডাকা হবে বলে শোনা যাচ্ছে।