যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল ৯ লাখ ৫১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে পরিত্যক্ত ভবন

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের পরিত্যক্ত ভবনের সর্বোচ্চ মূল্য উঠেছে ৯ লাখ ৫১ হাজার টাকা। টেন্ডার কার্যক্রম সম্পন্ন করার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই মূল্যে ভবন বিক্রির অনুমোদন চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, গণপূর্ত বিভাগের এস্টিমেট অনুযায়ী নিলামে ভবন বিক্রি করার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। এরপর টেন্ডার কার্যক্রম সম্পন্ন করে সর্বোচ্চ দরদাতার নাম স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের পুরাতন ভবন অপসারণের জন্য গত ৬ মে উন্মুক্ত টেন্ডার আহ্বান করা হয়। টেন্ডারে বিভিন্ন ঠিকাদার ও প্রতিষ্ঠান ৮৩টি শিডিউল ক্রয় করলেও ৮টি শিডিউল জমা পড়ে। এর ভেতর ৫টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা বাছাই করেন দরপত্র কমিটি।
এগুলো হচ্ছে, মেসার্স জুয়েল ট্রেডার্স, মেসার্স আম্মাতুন এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স হারুন এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স ডেভেলপমেন্ট প্লানিং কনস্ট্রাকশন ও গ্রিন বাংলা। ওই ৫টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স হালনাগাদকরণ ২০২২-২৩ সালের আয়কর পরিশোধসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় ৪টি প্রতিষ্ঠানের দরপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয় এবং মেসার্স ডেভেলপমেন্ট প্লানিং কনস্ট্রাকশনের কাগজপত্র ঠিক থাকায় ওই প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচিত করে কাজ দেওয়ার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে গত ৯ মে চিঠি দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও টেন্ডার কমিটির সভাপতি ডা. মো. হারুন-অর-রশীদ জানিয়েছেন, গণপূর্ত বিভাগ যশোর মূলত এ পরিত্যক্ত জরাজীর্ণ ভবন অপসারণ করার জন্য মূল্য নির্ধারণ করে থাকে। তাদের দেওয়া মূল্য অনুযায়ী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিলামে ভবনগুলো ভেঙে ফেলার জন্য নিয়ম অনুযায়ী (দরপত্র) আহ্বান করা হয়। দরপত্রের ৮৩টি শিডিউল বিক্রি হলেও ৮টি জমা পড়ে। বাছাই শেষে সমস্ত কাগজপত্র ঠিক থাকায় মেসার্স ডেভেলপমেন্ট প্লানিং কনস্ট্রাশন সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে বিবেচিত হয়। তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. হারুন-অর-রশীদ জানিয়েছেন, গণপূর্ত বিভাগের অ্যাসেসমেন্ট ছিল ৯ লাখ ৬ হাজার টাকা। যেখানে শিডিউলে ৯ লাখ ৫১ হাজার টাকা হওয়ায় ওই প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচিত করা হয়েছে। সে মোতাবেক অনুমোদন চেয়ে ঢাকায় কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে। সে সকল পরিত্যক্ত ভবন ভাঙা হবে সেগুলো হচ্ছে, পুরাতন সার্জারি ও মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ড দ্বিতল ভবন, পুরাতন সার্জারি ওয়ার্ডের পেছনের অংশ, পুরাতন একতলা বিশিষ্ট ফার্মাসিস্ট কোয়ার্টার, পুরাতন একতলা মর্গ, পুরাতন সংক্রামক ওয়ার্ড টিনশেড ও নতুন মর্গের সামনে পুরাতন টিনশেড ৪র্থ শ্রেণির সমিতির ঘর।