স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর শহরের বড়বাজার মাছ বাজারের মাছের আড়ৎদার হাফিজুর রহমান আজাদের বিরুদ্ধে এক নারীকে ধর্ষণ এবং ব্লাকমেইলিং করে ফ্ল্যাট লিখিয়ে নেওয়ার অভিযোগে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। আদালতের আদেশে গত শনিবার রাতে থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়। অভিযুক্ত হাফিজুর রহমান আজাদ শহরতলীর ঝুমঝুমপুর বালিয়াডাঙ্গার মতিয়ার রহমান গাজীর ছেলে।
ভুক্তভোগী ওই নারীর বাড়ি শহরের বড়বাজারের হাটখোলা রোডে। গত ৪ এপ্রিল তিনি আদালতে মামলা করেছিলেন। এ সময় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক গোলাম কবির অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড করার জন্য কোতয়ালি থানা পুলিশের ওসিকে আদেশ দিয়েছিলেন। এর প্রেক্ষিতে থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়।
মামলায় ওই নারী উল্লেখ করেছেন, তিনি হাটখোলা রোডের বাসিন্দা। আসামি আজাদ দীর্ঘদিন ধরে তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। এতে রাজি না হওয়ায় ২০১৯ সালের ১ অক্টোবর আজাদ তার বাড়িতে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন। এ সময় ধর্ষণের দৃশ্য মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় ভিডিও এবং স্থির চিত্র ধারণ করেন আজাদ। পরে ওই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় এবং তার ২টি ফ্ল্যাটের অর্ধেক নিজের নামে লিখিয়ে নেন আজাদ। পরবর্তীতে ওই নারী পুলিশের কাছে অভিযোগ ছাড়াও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে বিচার দাবি করেন। তখন আজাদ তাকে হাতিয়ে নেওয়া টাকা ও ফ্ল্যাটের অর্ধেক ফিরিয়ে দিতে সম্মত হন। এরপর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও টাকা এবং লিখে নেওয়া ফ্ল্যাট ফেরৎ দেননি আজাদ। সর্বশেষ গত ২ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আজাদ ওই নারীর লোন অফিস পাড়ার ফ্ল্যাটে যান এবং বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে ফের তাকে ধর্ষণ করেন। এছাড়া তাকে মারধর করা হয়।