মনিরামপুরে বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং

0

মজনুর রহমান,মনিরামপুর(যশোর)॥ পবিত্র রমজানে চলছে প্রচন্ড তাপদাহ,তার ওপর বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে যশোরের মনিরামপুরে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে জোহর থেকে আছর, ইফতার থেকে তারাবির ওয়াক্ত এবং সেহরিসহ অধিকাংশ সময় মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিং চলছেই। এতেকরে নামাজি, শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা পড়েছে বেশি বিপাকে। তবে পৌর শহরের বাইরে গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহের অবস্থা আরো বেশি নাজুক। ফলে জনসাধারণের মধ্যে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিরুদ্ধে দিন দিন অসন্তোষ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
দিনরাত মনিরামপুরে বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকছে ১২ থেকে ১৪ ঘন্টা। এর মধ্যে ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে বিশেষ ব্যবস্থায় মনিরামপুর পৌরশহরে একটু বেশি সরবরাহ করা হচ্ছে। তাও আবার এক নাগাড়ে বেশিক্ষণ নয়। সর্বোচ্চ এক থেকে দুই ঘন্টা। অন্যদিকে পৌরশহরের বাইরে বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিদ্যুতের লোডশেডিং আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ফলে জনজীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ।
তেতুলিয়া গ্রামের স্কুলশিক্ষক আশরাফুজ্জামান বলেন, বিদ্যুৎ কখন আসে তা মানুষ আর খোঁজ -খবর রাখেনা। পবিত্র রমজানে বিদ্যুৎ না থাকায় ভ্যাসপা গরমের মধ্যে মানুষ নাকাল হয়ে পড়ছে।
হাজী কামরুজ্জামান বলেন, সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নামাজিদের। হাজী আনিসুর রহমান বলেন, অধিকাংশ সময় জোহর, ইফতার, মাগরিব, তারাবিসহ সেহরির সময় বিদ্যুৎ বন্ধ থাকে। হেলাঞ্চী গ্রামের বাসিন্দা আজিবর রহমান বলেন, পবিত্র রমজানে একেতো প্রচন্ড গরম, তার ওপর অধিকাংশ সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় বাড়িঘর ছেড়ে গাছের ছায়ায় অবস্থান করতে হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. তন্ময় কুমার বিশ^াস বলন, প্রচন্ড গরমে প্রতিদিন ডায়রিয়া রোগির সংখ্যা বাড়ছে।
যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২(মনিরামপুর)-র জেনারেল ম্যানেজার আবদুল লতিফ বলেন, বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে আমি রীতিমত বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছি। তিনি বলেন, সন্ধ্যা ও মাঝরাতে বিদ্যুতের ব্যবহার অনেক বেশি থাকায় চাহিদা অনুসারে সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছেনা। তবে আবহাওয়া একটু অনুকূলে আসলে ঈদের সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে পারে।